রাজধানীর গির্জায় ককটেল বিস্ফোরণ, সিবিসিবির তীব্র নিন্দা
ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:০১
ছবি : সংগৃহীত
রাজধানীর তেজগাঁওয়ের হলি রোজারি গির্জার সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ কাথলিক বিশপ সম্মিলনী (সিবিসিবি)। সংগঠনটির সভাপতি ও ঢাকার আর্চবিশপ বিজয় এন. ডি’ক্রুজ, ও এমআই এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই হামলা দেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি, ধর্মনিরপেক্ষতা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য একটি অশুভ সংকেত।’
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাতে বাংলাদেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জন্য ডেডিকেটেড পাবলিক রিলেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ম্যানেজমেন্ট প্ল্যাটফর্ম ‘অ্যানোনিমাস পিআরসিএম’ এর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এর আগে বুধবার (৮ অক্টোবর) রাত ১০টা ১ মিনিটে মোটরসাইকেলযোগে আসা দুষ্কৃতিকারীরা গির্জার প্রধান ফটকের সামনে ককটেল নিক্ষেপ করে দ্রুত পালিয়ে যায়। বিস্ফোরণে বিকট শব্দ ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী সৃষ্টি হয়, যা আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত শুরু করেন এবং সেখান থেকে ২টি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেন।
বিশপ সম্মিলনীর বিবৃতিতে বলা হয়, ‘৩শ বছরেরও বেশি সময় ধরে তেজগাঁও এলাকায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বসবাস। গির্জাটির পাশাপাশি এলাকায় চার্চ পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সেবা কেন্দ্র রয়েছে, যা ঢাকায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের কার্যক্রমের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বোমা বিস্ফোরণ অত্যন্ত দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশের খ্রিষ্টান সমাজ শান্তিপ্রিয় এবং দেশের কল্যাণ ও উন্নয়নে নিবেদিত। উপাসনালয়ের চত্বরে এমন হামলা শুধু আতঙ্কই সৃষ্টি করে না, বরং দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে।’
আর্চবিশপ বিজয় এন. ডি’ক্রুজ বলেন, ‘২০০১ সালে গোপালগঞ্জের বানিয়ারচর গির্জায় বোমা হামলায় ১০ জন নিহত ও ২৬ জন আহত হয়েছিলেন। সেই ঘটনার ন্যায়বিচার আজও হয়নি। বর্তমান ঘটনাটিও যদি দ্রুত ও সঠিকভাবে তদন্ত না হয়, তাহলে এমন হামলার পুনরাবৃত্তি ঘটার আশঙ্কা রয়েছে এবং সংখ্যালঘু খ্রিষ্টানরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে।’
তিনি বাংলাদেশের সমগ্র খ্রিষ্টান সমাজের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান—যেন তেজগাঁওয়ের এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এছাড়া খ্রিস্টধর্মের বিশ্বাসীসহ সব ধর্মের মানুষ যাতে নির্ভয়ে জীবনযাপন ও ধর্মপালন করতে পারে, সে জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এএ

