Logo

রাজধানী

বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ পরিদর্শনে বিজিএমইএ

Icon

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:২২

বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ পরিদর্শনে বিজিএমইএ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পোশাক শিল্পে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) সংঘটিত এই ঘটনায় রপ্তানি বাণিজ্যে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। সংগঠনটির মতে, এই দুর্ঘটনা বিদেশি ক্রেতাদের আস্থায়ও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

রোববার (১৯ অক্টোবর) বিজিএমইএর সিনিয়র সহ-সভাপতি ইনামুল হক খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্স ভবন পরিদর্শন করেন। এসময় তারা বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাদের উদ্বেগ তুলে ধরেন এবং শিল্পের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে সহযোগিতা কামনা করেন।

সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বিজিএমইএ নেতাদের জানান, আমদানিকৃত কাঁচামালগুলো ৭২ ঘণ্টার পরিবর্তে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই খালাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আপাতত এসব মালামাল কার্গো ভিলেজের ৩ নম্বর ভবনে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলে আরও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি (অর্থ) মিজানুর রহমান, পরিচালক ফয়সাল সামাদ, মজুমদার আরিফুর রহমান, কাজী মিজানুর রহমান, রুমানা রশীদ, মোহাম্মদ সোহেল, সাবেক পরিচালক নজরুল ইসলাম, জনসংযোগ ও প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদ কবির এবং এয়ারপোর্ট সেলের চেয়ারম্যান মো. নিশের খান প্রমুখ।

পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে ইনামুল হক খান জানান, পোশাক শিল্পে উচ্চমূল্যের পণ্য ও জরুরি শিপমেন্টে আকাশপথ ব্যবহৃত হয়। অগ্নিকাণ্ডে এসব গুরুত্বপূর্ণ পণ্য, মূল্যবান কাঁচামাল, এক্সেসরিজ ও অসংখ্য স্যাম্পল (নমুনা পণ্য) পুড়ে গেছে—যা ভবিষ্যৎ ব্যবসায়িক সুযোগের জন্য বড় হুমকি তৈরি করেছে।

তিনি আরও জানান, ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য সংগ্রহে বিজিএমইএ সদস্যদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফরমে তথ্য নিচ্ছে এবং অনলাইন ডেটা কালেকশন পোর্টালও চালু করেছে। সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে শিগগিরই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, কাস্টমসসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় সভা করা হবে।

বিজিএমইএ পোশাক শিল্পের এই বিপুল ক্ষতি মোকাবেলায় সরকারের কাছে চার দফা দাবি জানিয়েছে—

১. অগ্নিকাণ্ডটি দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা, তা দ্রুত ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা।

২. ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের জন্য সার্বিক সহযোগিতা ও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা।

৩. রপ্তানি পণ্যের শিপমেন্ট যেন স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারে, সে জন্য প্রক্রিয়াগুলো সহজ ও দ্রুত করা।

৪. বিমানবন্দরের স্পর্শকাতর এলাকায় পণ্যের নিরাপত্তা জোরদার করা, যাতে বিদেশি ক্রেতাদের মধ্যে আতঙ্ক না ছড়ায়।

বিজিএমইএ সদস্যদের দ্রুত পণ্য খালাস ও রপ্তানি কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখতে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে কার্গো খালাস সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে।

এএইচএস/এএ

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

শাহজালাল বিমানবন্দর বিজিএমইএ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর