জুবায়েদ হত্যা : ছাত্রী বর্ষাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩০

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য জুবায়েদ হোসেন হত্যার ঘটনায় তার ছাত্রী বার্জিস শাবনাম বর্ষা (১৯)সহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর বংশাল থানায় এ মামলা দায়ের করেছেন নিহত জুবায়েদের ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বর্ষার প্রেমিক মো. মাহির রহমান (১৯) ও ফারদীন আহমেদ আয়লান (২০)। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে উল্লেখিত তিন আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে জানা গেছে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মো. জুবায়েদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করতেন। প্রতিদিনের মতো তিনি গত ১৯ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বংশাল থানাধীন ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের নুর বক্স লেনের ১৫ নম্বর হোল্ডিং, রৌশান ভিলায় বর্ষাকে পড়ানোর জন্য যান। ওই দিন সন্ধ্যা প্রায় ৫টা ৪৮ মিনিটে ছাত্রী বর্ষা জুবায়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট ভাই সৈকতকে মেসেঞ্জারের মাধ্যমে জানান যে, ‘জুবায়েদ স্যার খুন হয়ে গেছেন।’
এ ঘটনার বিষয়টি ওই দিন রাত ৭টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. কামরুল হাসান মামলার বাদী জুবায়েদের ভাইকে মোবাইল ফোনে জানান। সৈকত তার শ্যালক শরীফ মোহাম্মদকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে ওই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থল রৌশান ভিলায় পৌঁছান।
সৈকত ঘটনাস্থলে গিয়ে তার পরিচিত বড় ভাই অ্যাডভোকেট ইশতিয়াক হোসাইন জিপুকে সঙ্গে নিয়ে ভবনের নিচতলা থেকে ওপরে ওঠার সময় সিঁড়ি ও দেওয়ালে রক্তের দাগ দেখতে পান। ভবনের তৃতীয় তলার রুমের পূর্ব পার্শ্বের সিঁড়িতে জুবায়েদের রক্তাক্ত মরদেহ উপুড় অবস্থায় দেখতে পান তারা। সুরতহাল প্রস্তুতের সময় তার গলার ডান পাশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।
মামলার এজাহারে বাদী সৈকত উল্লেখ করেন, ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজনের কাছ থেকে জেনে এবং আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তিনি নিশ্চিত হন যে উল্লিখিত আসামিসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন মিলে তার ভাইকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার ডান পাশে আঘাত করে হত্যা করেছে।
এদিকে, নিহতের প্রায় ৪১ ঘণ্টা পর বংশাল থানা পুলিশ এ মামলা গ্রহণ করে। মামলার বাদী এনায়েত হোসেন সৈকত বলেন, ‘আমাদের পরিবারের সকল সদস্যের সঙ্গে পরামর্শ করেই আমি বাদী হয়ে মামলা করেছি। গতকাল মানসিক অবস্থা ভালো না থাকায় মামলা করতে একদিন দেরি হয়েছে। যারা প্রকৃত আসামি, আমরা তাদের নাম উল্লেখ করেই মামলা করেছি। আমরা চাই কোনো নির্দোষ ব্যক্তি যেন ফেঁসে না যায়। যারা প্রকৃত অপরাধী তারাই শাস্তি পাক। মামলায় যাদের নাম উল্লেখ করেছি, তাদের সবাইকেই পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। এজন্য পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই।’
জেএন/এমবি