ঝটিকা মিছিল
রাজধানীতে আ.লীগের ৩ হাজার নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:৪৯
কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ঝটিকা মিছিল এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা করার অভিযোগে চলতি বছর এখন পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি তালেবুর রহমান বলেন, এটা গণগ্রেপ্তার বলা যাবে না। আমরা শুধু ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়া এবং তাৎক্ষণিকভাবে অপরাধে জড়িতদের গ্রেপ্তার করছি। যাচাই-বাছাইয়ের পর অভিযোগ প্রমাণিত হলে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হচ্ছে।
তিনি জানান, ঢাকার বাইরে থেকে অনেকেই রাজধানীতে এসে মিছিলের চেষ্টা করছেন। তাদের উদ্দেশ্য হলো ‘রাজধানীতে তাদের উপস্থিতি জানানো এবং আতঙ্ক সৃষ্টি করা’।
ঝটিকা মিছিলের অংশগ্রহণকারীদের আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে ডিসি বলেন, ‘বাইরের জেলা থেকে কেউ ঢাকায় আসবে, থাকার-খাওয়ার খরচসহ নির্দিষ্ট টাকা না হলে তো সে আসবে না। আমাদের কাছে তথ্য আছে— বিভিন্নভাবে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। যারা অর্থায়ন করছে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।’
তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে বেশিরভাগই বিভিন্ন ইউনিয়ন, থানা বা উপজেলা পর্যায়ের নেতা। এতে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, সংগঠিতভাবে তারা ঢাকায় এসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্ন করার চেষ্টা করছে।’
মিছিল থেকে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে জানিয়ে ডিসি তালেবুর রহমান বলেন, ‘অনেককে হাতেনাতে ককটেলসহ ধরা হয়েছে। এগুলো খুব বিপজ্জনকভাবে তৈরি। উদ্দেশ্য ছিল জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘২৪৪ জন একদিনে এবং ১৩১ জনকে অন্যদিন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমাদের নজরদারির কারণেই এসব সম্ভব হয়েছে।’
নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় রাজনৈতিক তৎপরতা বাড়বে জানিয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ডিএমপি যেকোনো অপতৎপরতা রুখে দেওয়ার সক্ষমতা রাখে।’
তিনি আরও জানান, ঝটিকা মিছিল সমন্বয়কারীদেরও নজরদারিতে রাখা হয়েছে। রাজধানীতে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক কার্যক্রম মোকাবিলায় পুলিশের কড়া নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। ঝটিকা মিছিল, বিস্ফোরণ এবং আর্থিক প্রণোদনার অভিযোগে তদন্ত চলছে।
এমবি

