Logo

রাজধানী

‘আইন শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে শতভাগ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিশ্চিত করতে হবে’

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৫:২৮

‘আইন শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে শতভাগ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিশ্চিত করতে হবে’

ছবি : বাংলাদেশের খবর

বাংলাদেশ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে শতভাগ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ হলেও বিদ্যমান আইনের সীমাবদ্ধতা ও দুর্বল বাস্তবায়ন এ লক্ষ্য অর্জনের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আইন সংশোধন এবং কঠোর বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ও সাংবাদিকরা।

রাজধানীর বিএমএ ভবনে অনুষ্ঠিত “বাংলাদেশে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন: অগ্রগতি, প্রতিবন্ধকতা ও করণীয়” শীর্ষক দুই দিনব্যাপী (৫ ও ৬ নভেম্বর) সাংবাদিক কর্মশালায় এসব মতামত তুলে ধরেন বক্তারা।

গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই)-এর সহযোগিতায় প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এই কর্মশালা আয়োজন করে। কর্মশালায় প্রিন্ট, টেলিভিশন ও অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত ৩০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালায় জানানো হয়, বর্তমানে বাংলাদেশে জন্ম নিবন্ধনের হার ৫০ শতাংশ এবং মৃত্যু নিবন্ধনের হার ৪৭ শতাংশ, যেখানে বৈশ্বিক গড় যথাক্রমে ৭৭ ও ৭৪ শতাংশ। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন প্রতিটি নাগরিকের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, ভোটাধিকার, উত্তরাধিকার ও সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির মতো মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করে। অপরদিকে নিবন্ধন না থাকলে শিশুশ্রম, বাল্যবিবাহ ও পরিচয়হীন নাগরিকত্বের ঝুঁকি বাড়ে। 

বক্তারা বলেন, নিবন্ধন শুধু পরিসংখ্যান নয়-এটি একটি দেশের ন্যায্য উন্নয়ন পরিকল্পনা ও সুশাসনের মূল ভিত্তি।

কর্মশালায় আরও জানানো হয়, বর্তমান আইনে জন্ম ও মৃত্যুর তথ্য প্রদানের দায়িত্ব পরিবারকে দেওয়া হয়েছে এবং স্বাস্থ্য বিভাগের ভূমিকা ঐচ্ছিক রাখা হয়েছে। অথচ দেশের প্রায় ৬৭ শতাংশ শিশু স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে জন্মগ্রহণ করে।

বক্তারা বলেন, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বহু দেশ হাসপাতালকে নিবন্ধনের দায়িত্ব দিয়ে প্রায় শতভাগ নিবন্ধন নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশেরও উচিত হবে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ সংশোধন করে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের ওপর আইনগতভাবে এই দায়িত্ব অর্পণ করা। এতে সিআরভিএস দশকের শতভাগ নিবন্ধন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ১৬.৯ অর্জন ত্বরান্বিত হবে।

জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মদ রূহুল কুদ্দুস বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে শতভাগ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিশ্চিত করতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। এ লক্ষ্যে আইন সংস্কারের পাশাপাশি বিদ্যমান আইনের কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।’

ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিস-এর কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। নিবন্ধকদের দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা উন্নয়ন এবং আন্ত-খাত সমন্বয় শক্তিশালী করা জরুরি।’

কর্মশালায় আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিস-এর কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মো. মঈন উদ্দিন, দৈনিক জনকণ্ঠের চিফ রিপোর্টার কাওসার রহমান এবং প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের। কর্মশালায় প্রজ্ঞা’র কর্মসূচি প্রধান হাসান শাহরিয়ার ও কোঅর্ডিনেটর মাশিয়াত আবেদিন বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা প্রদান করেন।

  • এসআইবি/এমআই
Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর