‘দুই বছরেও বন্ধ হয়নি খোলা তেল বিক্রি, স্বাস্থ্যে ঝুঁকি বাড়ছে’
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:২৪
ছবি : বাংলাদেশের খবর
সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দেশের বাজারে এখনো বিক্রি হচ্ছে খোলা সয়াবিন তেল। গত দুই বছর ধরে ড্রামজাত খোলা তেল বিক্রি বন্ধ করার সরকারী উদ্যোগ কার্যকর হয়নি।
রাজধানীর বিএমএ ভবনে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) “সবার জন্য ভিটামিন সমৃদ্ধ নিরাপদ ভোজ্যতেল: অগ্রগতি, বাধা ও করণীয়” শীর্ষক সাংবাদিক কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তারা বলেন, ড্রামজাত সয়াবিন তেল মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। সুস্থ ও কর্মক্ষম প্রজন্ম গড়ে তুলতে ভিটামিন ‘এ’ ও ‘ডি’ সমৃদ্ধ নিরাপদ ভোজ্যতেল নিশ্চিত করা জরুরি।
কর্মশালায় জানানো হয়, ২০২৩ সালের ১ আগস্ট থেকে সরকার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। কিন্তু কিছু দিনের তদারকি বন্ধ হওয়ার কারণে হাটবাজার ও মুদি দোকানে আবারও খোলা তেল বিক্রি শুরু হয়। জাতীয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট জরিপ (২০১১-১২) অনুযায়ী, প্রতি পাঁচজন শিশুর মধ্যে একজন ভিটামিন ‘এ’ এবং দুইজন ভিটামিন ‘ডি’-এর ঘাটতিতে ভুগছে।
প্রজ্ঞা ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা বলেন, অনেক ড্রামে আগে কেমিক্যাল, মবিল বা শিল্পপণ্য রাখা হয়, যা নন-ফুড গ্রেড এবং বিপজ্জনক। বাজারে বিক্রি হওয়া তেলের ৬৫ শতাংশ ড্রামে বিক্রি হয়, যার মধ্যে ৫৯ শতাংশে ভিটামিন ‘এ’ একেবারেই নেই।
তাদের মতে, ভিটামিন ‘এ’ ঘাটতি শিশুদের অন্ধত্ব ও মাতৃমৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়। ভিটামিন ‘ডি’ অভাবে রিকেটস, হাড়ক্ষয় ও হৃদরোগসহ নানা অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। নিরাপদ প্যাকেজিং ও ভিটামিন সমৃদ্ধ তেল নিশ্চিত করা জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন-জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের কনসালটেন্ট মুশতাক হাসান মুহ. ইফতিখার, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশনের ড. আশেক মাহফুজ, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি দৌলত আক্তার মালা এবং প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের।
- এমআই

