আন্তর্জাতিক যুব নেতৃত্ব সংগঠন জেসিআই বাংলাদেশ রাজধানীর আইসিসিবি–তে শনিবার (২৯ নভেম্বর) দুই দিনব্যাপী ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ সামিট ২০২৫ আয়োজন করেছে। শুক্রবার শেষ হওয়া এ সামিটে দেশের বিভিন্ন খাতের ৫০০–এর বেশি শিল্পপ্রধান, কূটনীতিক, উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, করপোরেট নির্বাহী, তরুণ উদ্ভাবক ও উদ্যোক্তা অংশ নেন।

এবারের সামিটের শিরোনাম ছিল ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ: ফ্রম লোকাল স্ট্রেংথ টু গ্লোবাল স্টেজ’। আয়োজকদের ভাষায়, দেশের সক্ষমতা ও সামর্থ্যকে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে আরও শক্তভাবে উপস্থাপনের লক্ষ্যেই এ আয়োজন।

সামিটে ব্যাংকিং–ফিনটেক, হসপিটালিটি–লাইফস্টাইল, উন্নয়ন খাত, মেড ইন বাংলাদেশ, শিক্ষা–দক্ষতা উন্নয়ন এবং স্টার্টআপ–প্রযুক্তি—এ ছয়টি খাত নিয়ে সেক্টরভিত্তিক আলোচনা হয়। পাশাপাশি জেসিআই–এর ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম ‘জেসিআই ইন বিজনেস (জেআইবি)’ ও ‘জেসিআই রাইজ’ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে তরুণ উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তাকর্ম নিয়ে নানা অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন-ব্রুনেই দারুসসালামের হাই কমিশনার হাজি হারিস ওসমান। তিনি আঞ্চলিক সহযোগিতা ও যুব নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে বক্তব্য দেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিডা–র বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর নাহিয়ান রহমান রোচি। তিনি বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনা ও উদ্ভাবন–ভিত্তিক প্রবৃদ্ধির নানা দিক তুলে ধরেন।

সামিটের উদ্বোধন করেন- জেসিআই বাংলাদেশের জাতীয় সভাপতি কাজী ফাহাদ। তিনি বিভিন্ন সেক্টরের সম্মিলিত উদ্যোগে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিংকে আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।

আয়োজন বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দেন ইভেন্ট অ্যাডভাইজার তাসহীন আজিম শেজান। ইভেন্ট ডিরেক্টর ছিলেন দুইজন—মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল ও ইরফান উদ্দিন।

সমাপনী বক্তব্যে জাতীয় সভাপতি কাজী ফাহাদ বলেন, ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ সামিট শুধু কোনো অনুষ্ঠান নয়; বরং এটি আত্মবিশ্বাসী ও উদ্ভাবনী বাংলাদেশ গড়ার একটি জাতীয় প্ল্যাটফর্ম। 

তার মতে, দুই দিনের আলোচনায় পাওয়া অভিজ্ঞতা ও প্রতিশ্রুতি দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বকে নতুনভাবে অনুপ্রাণিত করবে।

জেসিআই বাংলাদেশ জানিয়েছে, সামিটকে আগামী বছরগুলোতে বার্ষিক ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগ হিসেবে আরও সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে।

• এমআই