Logo

রাজধানী

আলোচিত মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, বিবরণে যা লিখেছেন বাদী

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫:৩১

আলোচিত মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, বিবরণে যা লিখেছেন বাদী

ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসায় খুন হন লায়লা আফরোজ ও তাঁর স্কুলপড়ুয়া মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ। ছবি : পরিবারের সৌজন্যে

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলাটি করা হয়।

মামলার বাদী আ জ ম আজিজুল ইসলাম। স্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫) হত্যার ঘটনায় মামলাটি করেন তিনি। মামলায় কথিত গৃহকর্মী মোছা. আয়েশাকে (২০) আসামি করা হয়েছে।

মামলার তথ্য আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের মোহাম্মদপুর অঞ্চলের সহকারী কমিশনার আবদুল্লাহ আল মামুন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গতকাল সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

মামলায় বাদী আজিজুল লিখেছেন, তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। মোহাম্মদপুরে পরিবার নিয়ে থাকেন। চার দিন আগে উল্লিখিত আসামি তাঁর বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। গতকাল সকাল ৭টার দিকে তিনি (আজিজুল) তাঁর কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থলে থাকাকালে তিনি তাঁর স্ত্রীর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে তিনি বেলা ১১টার দিকে বাসায় আসেন। এসে দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা। স্ত্রী রক্তাক্ত-জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। আর মেয়ের গলার নিচে ডান পাশে কাটা। মেয়ে গুরুতর অবস্থায় বাসার প্রধান ফটকে পড়ে আছে। মেয়ের এই অবস্থা দেখে তিনি দ্রুত তাকে উদ্ধার করেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী আশিকের মাধ্যমে মেয়েকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

মামলায় আজিজুল আরও লিখেছেন, তিনি বাসার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করেন। এতে তিনি দেখতে পান, আসামি সকাল ৭টা ৫১ মিনিটের সময় কাজ করার জন্য বাসায় আসেন। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় আসামি তাঁর (বাদী) মেয়ের স্কুল ড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ অন্যান্য মূলবান সামগ্রী নিয়ে যান আসামি।

মামলায় বাদী লিখেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তিনি নিশ্চিত হন যে, অজ্ঞাত কারণে আসামি তাঁর (বাদী) স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি বা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেন।

এদিকে মা-মেয়ে হত্যার আসামিকে (গৃহকর্মী) শনাক্ত করা যায়নি বলে আজ বেলা সোয়া ১১টার দিকে গণমাধ্যমকে জানান মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন। তিনি বলেন, গৃহকর্মীর পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি, পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

আইএইচ/ 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

মামলা হত্যা / খুন

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর