বসুন্ধরায় আন্তর্জাতিক ই-ওয়েস্ট দিবস ২০২৫ পালিত

ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:৩৬

ছবি : সংগৃহীত
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ‘ই-বর্জ্যের লাগসই পুনর্ব্যবহার : ই-ওয়েস্ট কমাই, পরিবেশ বাঁচাই, সুস্থ জীবন গড়ি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক ‘ই-ওয়েস্ট দিবস ২০২৫’ পালিত হয়েছে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) দিবসটি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করে পরিবেশবান্ধব সংগঠন ‘ডব্লিউইইই সোসাইটি বাংলাদেশ’।
এদিকে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্রমবর্ধমান হুমকি হয়ে ওঠা ই-বর্জ্য বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শনিবার সকালে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার জাপান স্ট্রিট ১০০ ফিট মোড় থেকে শুরু হয়ে জাপান স্ট্রিট হয়ে ওয়ালটন হেড অফিসের দিক ঘুরে পুনরায় ১০০ ফিট জাপান স্ট্রিটে এসে শেষ হয়।
এতে অংশ নেয়, ‘ইয়োগা ফাউন্ডেশন বসুন্ধরা’, ‘আমরা সবাই রানার – বসুন্ধরা’ গ্রুপের সদস্যবৃন্দ। এছাড়া শিক্ষার্থী, পেশাজীবী, স্থানীয় বাসিন্দারাসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও র্যালিতে অংশ নেন।
র্যালি শেষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন দিক নিয়ে মতবিনিময় করেন সমাজের বিশিষ্ট-জনেরা। এসময় বক্তারা বলেন, ‘প্রযুক্তির প্রসারে ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার যেমন বেড়েছে, তেমনি তার বর্জ্য আজ এক বড় সংকটে পরিণত হয়েছে। একে যথাযথভাবে রিসাইক্লিং না করলে তা পরিবেশ ও মানবদেহে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।’
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মো. মনিরুজ্জামান, মাহবুবুর রহমান, মো. শাহাদাত হোসেনসহ আরও অনেকে। তারা বলেন, ‘দেশের ই-বর্জ্যের একটি বড় অংশ এখনো অনানুষ্ঠানিকভাবে নিষ্পন্ন হয়, যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সরকার, শিল্প খাত ও নাগরিকদের সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া এই সংকট নিরসন সম্ভব নয়।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অবদান রাখে ইয়োগা ফাউন্ডেশন বসুন্ধরা। ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মো. শোয়েব জামান বলেন, ‘ইয়োগা শুধু শরীরচর্চা নয়, এটি মনন ও পরিবেশচেতনারও অনুশীলন। আমরা বিশ্বাস করি— ব্যক্তি যদি নিজের শরীর ও মনের যত্ন নেয়, সে পরিবেশের প্রতিও সচেতন থাকবে।’ তিনি ভবিষ্যতেও এই ধরনের সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রমে সক্রিয় থাকার আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্যে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মো. আবুল বাশার বলেন, ‘প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ ই-বর্জ্য আমাদের চারপাশে জমছে, যার বিষাক্ত উপাদান আমাদের মাটি, পানি ও বাতাসকে দূষিত করছে। এটি থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় সচেতনতা ও সম্মিলিত উদ্যোগ।’ এছাড়া তিনি ‘ডব্লিউইইই সোসাইটি বাংলাদেশ’-এর ভূমিকাকে প্রশংসনীয় বলে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানের শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ‘ডব্লিউইইই সোসাইটি বাংলাদেশ’-এর লোগো সংবলিত টি-শার্ট বিতরণ করা হয়।
পরিশেষে, উপস্থিত সদস্যবৃন্দ ও অতিথিরা ‘ডব্লিউইইই সোসাইটি বাংলাদেশ’-এর এ উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং প্রতি বছর এ ধরনের সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
এএ