হাতের মুঠোয় ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংকের ‘আস্থা’ অ্যাপ
বিজনেস ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২:৪৯
আস্থা, উদ্ভাবন ও অন্তর্ভুক্তি — এই তিন ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ‘আস্থা’ অ্যাপ হয়ে উঠেছে মানুষের দৈনন্দিন ব্যাংকিং প্রয়োজন পূরণের এক অনন্য প্ল্যাটফর্ম। সবার কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে অ্যাপটি পেয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা।
এগার লাখেরও বেশি ব্যবহারকারী এবং মাসে ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেনের মাধ্যমে আস্থা অ্যাপ ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিয়েছে বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তের গ্রাহকের কাছে। অ্যাপটি ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে, যা সহজ, দ্রুত ও ঝামেলাহীন ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিতের পাশাপাশি নিশ্চিত করছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা।
‘আস্থা’ ডিজাইন করা হয়েছে সবার জন্য। কিউআরের মাধ্যমে পেমেন্ট নেওয়া ছোট শহরের মাইক্রো-মার্চেন্ট থেকে শুরু করে আর্থিক বিষয় নিয়ে কাজ করা ব্যস্ত পেশাজীবী— সবাই নিজ নিজ প্রয়োজনে সেবা নিতে পারেন ‘আস্থা’ অ্যাপ থেকে। আন্তঃব্যাংক ফান্ড ট্রান্সফার, ডিপিএস ও টার্ম ডিপোজিট ওপেনিং, ইনস্যুরেন্স পেমেন্ট, কার্ডবিহীন এটিএম উত্তোলন, কনজ্যুমার লোন, বাংলা কিউআর, ভিসা কার্ড ট্রান্সফার ও বিকাশ ইন্টিগ্রেশনসহ ১২০টিরও বেশি ফিচার ও সেবার সমন্বয়ে ‘আস্থা’ হয়ে উঠেছে প্রায় সব ধরনের আর্থিক প্রয়োজন পূরণের একক ও সুবিন্যস্ত পয়েন্ট। এই ব্যবহারবান্ধব ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম দেশে ক্যাশলেস অর্থনীতির দ্রুত প্রসার ঘটাচ্ছে।
এই পরিবর্তনের প্রমাণ মিলছে ‘আস্থা’ ব্যবহারের পরিসংখ্যানে। বর্তমানে ব্র্যাক ব্যাংকের মোট লেনদেনের প্রায় ৭১ শতাংশই সম্পন্ন হচ্ছে আস্থা অ্যাপের মাধ্যমে, যা ব্যাংকটির প্রতি গ্রাহক আস্থার সুস্পষ্ট প্রতিফলন। ‘আস্থা’র শক্তি কোনো একক ফিচারে নয়, বরং এর পুরো ইকোসিস্টেমই ‘আস্থা’র সক্ষমতাকে তুলে ধরে, যা জটিলতা দূর করে গ্রাহকদের জন্য ব্যাংকিং অভিজ্ঞতাকে করে তুলেছে সহজ ও উপভোগ্য। সাধারণ ফান্ড ট্রান্সফার থেকে শুরু করে দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক পরিকল্পনা— সব সেবাই পাওয়া যায় এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। দ্রুত, সহজ ও ঝামেলাহীন হওয়ায় ব্যাংকিংও হয়ে উঠেছে আরও স্মার্ট।
পেপারলেস প্রক্রিয়ায় আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বিকাশেও ‘আস্থা’ ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে নতুন খোলা রিটেইল অ্যাকাউন্টের ৯০ শতাংশই ই-কেওয়াইসির মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে। সকল রিটেইল গ্রাহক ও কার্ডহোল্ডার পাচ্ছেন ই-স্টেটমেন্ট, যেখানে দরকার হচ্ছে না প্রিন্টেড কপির। সকল কার্ড অ্যাক্টিভেশন সম্পন্ন হচ্ছে গ্রিন পিন ব্যবস্থার মাধ্যমে। ফলে, পুরোপুরি বন্ধ হয়েছে ফিজিক্যাল মেইলার। এই আধুনিক সেবার প্রভাবও কিন্তু লক্ষণীয়। ‘আস্থা’ ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিদিন ২ লাখেরও বেশি অ্যাকটিভ ইউজার আনুমানিক ৭.৫ থেকে ১০ লাখ মিনিটের ম্যানুয়াল সেবার সময় সাশ্রয় করছেন।
বিশ্বাস ও উদ্ভাবনই ‘আস্থা’র সিকিউরিটি ইনফ্রাস্ট্রাকচারের মূল চালিকাশক্তি। এনক্রিপ্টেড কানেকশন, বিহ্যাভিওরাল ফ্রড ডিটেকশন, ডিভাইস বাইন্ডিং এবং ২৪/৭ মনিটরিং ব্যবস্থা লাখো ব্যবহারকারীর জন্য নিশ্চিত করছে নিরাপদ ও সুরক্ষিত ব্যাংকিং সেবা। ডিজিটাল রিসিট, ইন-অ্যাপ কনফার্মেশন ও ই-স্টেটমেন্ট স্বচ্ছ অডিট ট্রেইল তৈরি করে, যা গ্রাহক সুবিধা নিশ্চিতের পাশাপাশি নির্ভরযোগ্যতাও নিশ্চিত করে।
দায়িত্বশীল ডিজিটাল ব্যবহারের বিষয়ে গ্রাহকদের সচেতন করতেও ব্র্যাক ব্যাংক নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে। ফলে, ‘আস্থা’ গ্রাহকদের পুরো ব্যাংকিং অভিজ্ঞতাকে দিচ্ছে এক নতুন রূপ।
ভবিষ্যৎ ব্যাংকিংয়ের বিষয়টি মাথায় রেখে ব্র্যাক ব্যাংক ‘আস্থা’কে করে তুলছে আরও বেশি ইন্টেলিজেন্ট, ব্যক্তিকেন্দ্রিক ও বহুমুখী প্ল্যাটফর্মবান্ধব। নতুন নতুন থার্ড-পার্টি ইন্টিগ্রেশন যুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ‘আস্থা’ বিকশিত হচ্ছে একটি পূর্ণাঙ্গ ফাইন্যান্সিয়াল ও লাইফস্টাইল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে। দেশে স্মার্ট, সহজ ও নিরাপদ ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি গ্রাহকদের নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ‘আস্থা’ এগিয়ে যাচ্ছে।
‘আস্থা’ নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, “আস্থার এই যাত্রা শুধু উদ্ভাবনের ফল নয়— এটি আরও স্মার্ট ব্যাংকিং সেবা উপভোগ করতে চাওয়া গ্রাহকদের পছন্দেরও প্রতিফলন। ম্যানুয়াল সেবার জন্য আগে যেখানে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো, এই ডিজিটাল সেবার প্রসার ঘটায় এখন আর লাইনে দাঁড়িয়ে সময় নষ্ট করতে হচ্ছে না। এই সুবিধা সময় বাঁচায়, কার্বন নিঃসরণ কমায়, কাগজের অপচয় রোধ করে এবং মানুষকে তাঁদের সময়কে আরও অর্থবহভাবে ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়। ‘আস্থা’ ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাহকরা শুধু সুবিধাই পাচ্ছেন না, তাঁরা আরও দক্ষ, টেকসই ও ভবিষ্যৎ-প্রস্তুত বাংলাদেশ গঠনেও অবদান রাখছেন।”
প্রযুক্তি, গ্রাহক আস্থা ও অন্তর্ভুক্তির সমন্বয়ে ‘আস্থা’ অ্যাপ শুধু সকলের কাছে ব্র্যাক ব্যাংকের সেবা পৌঁছেই দিচ্ছে না, বরং এটি সারাদেশে লাখো মানুষের জন্য আধুনিক ব্যাংকিংয়ের এক নতুন দিগন্তেরও উন্মোচন করছে। -সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
এমডিএ/টিএইচএম

