Logo

সারাদেশ

মাছ শিকারে গিয়ে সংঘর্ষ, দুই দিন পর মিলল ৩ লাশ

Icon

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৫, ১৩:৫৩

মাছ শিকারে গিয়ে সংঘর্ষ, দুই দিন পর মিলল ৩ লাশ

নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে মাছ শিকারে গিয়ে সংঘর্ঘে নিখোঁজের দুই দিন পর ধনু নদী থেকে তিন লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও জনতা।

সোমবার এসব লাশ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত লাশের মধ্যে রয়েছে মদন উপজেলার বাগজান গ্রামের মৃত সিদ্দিক মিয়ার ছেলে রোকন মিয়া, আটপাড়া উপজেলার রূপছন্দ্রপুর গ্রামের মৃত রোস্তম আলীর ছেলে শহীদ মিয়া (৫৫) ও কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ির ফজলুর রহমানের ছেলে হৃদয় মিয়া (৩০)। এ দিকে মদন উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের ইয়াছিন মিয়াসহ আরও অনেকে  নিখোঁজ রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

হৃদয় মিয়া ভাই লিটন মিয়া জানান, আমার ভাইয়ের সাথে আমিও পলো দিয়ে মাছ ধরতে আসছিলাম। ওই এলাকার লোকজন আমাকে ও আমার ভাইকে মারধর করে পানিতে ফেলে দেয়। আমি পানি থেকে সাঁতার কেটে উঠতে পারলেও আমার ভাই উঠতে পারেনি। আমি এর বিচার চাই।

ময়মনসিংহের ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ইউনিটের টিম লিডার নূরুল আলম খান জানান, গত শনিবার মাছ ধরতে আসা কিছু লোকজন নিখোঁজ হয়। এমন সংবাদের প্রেক্ষিতে আমরা ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম ধনু নদীতে আসি। পরে নদীতে খোঁজাখুজির পর নাওটানা নামক স্থান থেকে শহীদ ও হৃদয় মিয়ার লাশ উদ্ধার করি। অপর দিকে রোকন মিয়ার লাশ ভেসে উঠলে জনগণ তার লাশ উদ্ধার করে।

খালিয়াজুরী থানার ওসি মকবুল হোসেন জানান, শনিবার রসুলপুর গ্রামের লোকজনের সাথে পলো দিয়ে মাছ মারতে আসা লোকজন ধনু নদীর পার হওয়ার সময় সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েকজন নিখোঁজ ছিল। এর মধ্যে তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত শনিবার খালিয়াজুরীতে ময়মনসিংহের নান্দাইল, গৌরিপুর, ঈশ্বরগঞ্জ, কিশোরগঞ্জের তাড়াইল, নেত্রকোনা সদর, আটপাড়া, কেন্দুয়া, মদন ও খালিয়াজুরী উপজেলার হাজার হাজার লোকজন সমাবেত হয়ে হাওরে মাছ মারতে আসে। মাছ শিকারিরা রসূলপুর ফেরিঘাটের পাশে তাদের পরিবহনের শতাধিক পিকআপ ভ্যান, অটোরিকশা, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল রেখে ধনু নদী পার হওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ফেরিঘাটের লোকজনের সঙ্গে মাছ শিকারিদের তর্কবির্তকের এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। এতে স্থানীয়রা অংশ নিলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। 

এতে প্রায় শতাধিক লোক আহত হয় ও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ হয়। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা মাছ শিকারীদের শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন দেয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট গাড়িতে দেওয়া আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।

ওএফ

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

নিহত নেত্রকোনা

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর