ছুটির দিনেও মিলছে নিরবচ্ছিন্ন সেবা

 সরকারি ছুটি থাকলেও ঈদের সময়ও নিরলসভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে ভোলার লালমোহন মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। ঈদ উপলক্ষে ২৯ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ৮ দিনের সরকারি ছুটি থাকলেও প্রতিষ্ঠানটির সেবাদান কার্যক্রম বন্ধ থাকেনি।  

প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, গত ছয় দিনে (২৯ মার্চ-৩ এপ্রিল) এখানে ৩০টি সফল ডেলিভারি সম্পন্ন হয়েছে।  

চাঁদরাতে (৩০ মার্চ) রাত পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ সাতানী গ্রাম থেকে স্বপ্না নামের এক প্রসূতিকে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা। ঈদের দিন সকালে তিনি সন্তান প্রসব করেন।  

স্বপ্নার স্বজনেরা জানান, ঈদের সময় সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ডাক্তার ও নার্স পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন তারা। কিন্তু মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র খোলা থাকায় স্বস্তি পেয়েছেন।  

ঈদের দিন (৩১ মার্চ) সকাল সোয়া ৭টায় উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের রায়রাবাদ গ্রাম থেকে নাহিদা (২২) এবং দুপুরে পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়েস্টার্ন পাড়া থেকে ঝর্ণা (৩০) নামের আরেকজন প্রসূতি মা চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। ঈদের দিনেও এই সেবা পেয়ে তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।  

লালমোহন মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা (এফডব্লিউভি) মিরা রানী দাস জানান, ২৯ মার্চ ৮টি, ৩০ মার্চ ৬টি, ৩১ মার্চ ৩টি, ১ এপ্রিল ৮টি, ২ এপ্রিল ১টি ও ৩ এপ্রিল ৪টি সফল ডেলিভারি হয়েছে।  

ভোলা জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খান বলেন, ‘লালমোহন মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের কর্মীদের কাজ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। জনবল সংকট থাকলেও তারা নিরলসভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তবে জনবল সংকট কেবল ভোলায় নয়, সারা দেশেই এই সমস্যা রয়েছে।’

দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানটিতে মেডিকেল অফিসার ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী নেই। এর মধ্যেও প্রসূতি মায়েদের সেবায় নিয়োজিত কর্মীদের প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সচেতন মহল। পাশাপাশি দ্রুত জনবল নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন তারা।  

এস. মেজবাহ/এমআই