আকিজ কোম্পানির দেয়ালে ঝোলানো এসিড খেয়ে শিশুর মৃত্যু

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ২০:৪১

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানার দেয়ালে ঝোলানো কার্বলিক এসিড খেয়ে ১৩ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (৬ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোরা ইউনিয়নের খোর্দখোলা এলাকায় (আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের বাউন্ডারি সংলগ্ন) এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই কিশোরীর নাম কেয়া আক্তার। সে সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের খোর্দখোলা গ্রামের কালাম মিয়ার মেয়ে। কেয়া স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জানা যায়, কেয়া আক্তারের বাবা কালাম কেয়াকে বকাঝকা করলে অভিমান করে বাড়ির পাশে আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানার দেয়ালে ঝোলানো কার্বোলিক এসিড খায়। এরপর কেয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।
এলাকাবাসী কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, ‘সাপ আবার কোন জায়গায় নাই, সব জায়গায় কিছু না কিছু সাপ থাকেই। তবে উনারা সাপের জন্য নাকি বিষ দিছে, ৩-৪ বছরে তো একবারও শুনলাম না ওইখানে একটা সাপও দেখা গেছে। এইখানে যে কার্বলিক অ্যাসিড দিছে দেয়ালজুড়ে, তা আমাদের এলাকাবাসীদের অবগত করে নাই, আমাদের অনেক শিশু সন্তান ওইখানে গিয়ে খেলা করে। এই ঘটনা থেকে আমরা আজকে অবগত হলাম এইখানে এসিড আছে। কারখানার দেয়ালে অনিরাপদভাবে কার্বোলিক এসিড রাখায় এটা গ্রামবাসীর জন্য বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই এসিডের কারণেই কেয়া আক্তারের মৃত্যু হয়েছে।’
আকিজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানান তারা।
তবে অজানা কারণে আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে নারাজ নিহত শিশুর পরিবার। এ ছাড়া আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কর্তৃপক্ষ শিশুটির মরদেহ দেখতে এবং পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে আসলেও সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি।
আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানার নিরাপত্তা শাখার ম্যানেজার মোশতাক আহমেদ বলেন, আমাদের মিডিয়া উইং আপনাদের সাথে যোগাযোগ করবে। এ বিষয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করতে পারব না। আপনাদের নম্বর দিয়ে যান।
বিষয়টি নিয়ে সাটুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহীনুর ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোসা. ইয়াছমিন খাতুন বলেন, ‘আমি সাটুরিয়ার ওসির সাথে কথা বলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
আফ্রিদি আহাম্মেদ/এমজে