Logo

সারাদেশ

পিরোজপুরে চেতনা নাশক স্প্রে করে নগদ অর্থ-স্বর্ণালংকার চুরি

Icon

পিরোজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ২১:০৪

পিরোজপুরে চেতনা নাশক স্প্রে করে নগদ অর্থ-স্বর্ণালংকার চুরি

ছবি : বাংলাদেশের খবর

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের কুহুদশকাঠি গ্রামে চেতনা নাশক স্প্রে ব্যবহার করে এক রাতেই পাঁচটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরচক্রটি নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ২ ভরি স্বর্ণালংকার ও একটি মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে যায়।

শনিবার (৫ মার্চ) রাতে এ চুরির ঘটনা ঘটলেও এলাকাবাসী বিষয়টি পরবর্তী সময়ে জানতে পারে। চুরির পরপরই নেছারাবাদ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাধেশ্যাম সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গভীর রাতে চেতনা নাশক স্প্রে ব্যবহার করে চোরেরা রিপন বৈদ্য, পার্থ বৈদ্য, প্রশান্ত বৈদ্য, সত্য বৈদ্য এবং রমেন বৈদ্যের বাড়িতে সিঁধ কেটে প্রবেশ করে মূল্যবান জিনিসপত্র, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি করে। সকালে বাড়ির লোকজন ঘুম থেকে উঠে দেখেন, তাদের ঘরের সিঁধ কাটা। এরপর স্থানীয়দের জানালে তারা থানায় খবর দেন।

এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কারণ একই রাতে পাঁচটি বাড়িতে একইভাবে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরির শিকার রিপন বৈদ্য জানান, তিনি সম্প্রতি ১ লাখ ১০ হাজার টাকার একটি গরু বিক্রি করেছিলেন। ঈদের ছুটির কারণে ব্যাংক বন্ধ থাকায় তিনি টাকাগুলো ব্যাংকে রাখতে পারেননি, যা এখন চোরেরা নিয়ে গেছে। অন্য এক ভুক্তভোগী শোভা রানী বড়াল বলেন, রাত আড়াইটার দিকে তিনি গোয়াল ঘরের গরুগুলো দেখে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। সকালে উঠে দেখেন, তার ব্যবহৃত দুটি সোনার চেন চুরি হয়ে গেছে। তিনি জানান, দিনমজুর হিসেবে অনেক কষ্ট করে তিনি এসব স্বর্ণ সংগ্রহ করেছিলেন।

ওয়ার্ড চৌকিদার ইমরান হোসেন বলেন, চুরির খবর শুনে আমি সরেজমিনে গিয়ে থানায় জানাই। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বর্তমানে কিছু অপরিচিত লোক ইউনিয়নে ঘোরাফেরা করছে, যাদের সম্পর্কে সন্দেহ করা হচ্ছে।

ইউপি সদস্য কমলেশ রায় বলেন, গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় চুরির ঘটনা বেড়েছে। ব্যস্ততার কারণে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে যেতে না পারলেও শুনেছি, চুরির পদ্ধতি একই রকম। এছাড়া, বর্তমানে এলাকায় কিছু বখাটে ও কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। তাদের নিয়ন্ত্রণ না করা হলে ভবিষ্যতেও এমন চুরির ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাধেশ্যাম সরকার বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং তদন্ত চলছে। একই রাতে একইভাবে পাঁচটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে, যা অত্যন্ত সন্দেহজনক। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থেকে অভিযোগ আসেনি।’

সৈয়দ বশির আহম্মেদ/এআরএস


Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর