Logo

সারাদেশ

সালিশে পরাজিত হয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা

Icon

মাল্টিমিডিয়া করেসপন্ডেন্ট, মুন্সীগঞ্জ

প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৩:১১

সালিশে পরাজিত হয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা

আহত একজনের ছবি।

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে সামাজিক সালিশে হেরে প্রতিপক্ষের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে একটি পক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় চারজন আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন, মো. সেন্টু ঢালী (৩৮), রফিক ঢালী (৪০) মো. মন্টু ঢালী(৩৬) ও শাহাদাত(২৩)।

জানা গেছে, খলাগাঁও ও মালিগাঁও এলাকায় সেন্টু ঢালীর নামে মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানোর অভিযোগে মৌখিকভাবে গত ২ এপ্রিল বিকেল ৫টার দিকে খলাগাঁও ও মালিগাঁও জামে মসজিদের সামনে বিচার সালিশ হয়। সালিশ শেষে বাড়ি ফেরার পথে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সেন্টু ঢালীর পথ অবরোধ করে হামলা করা হয়। 

মো. শফি ঢালীর (৬৫) হুকুমে মৃত গগন ঢালীর ছেলে মো. রহিম ঢালী (৫৫) এবং তার ছেলে মো. রাব্বী ঢালী (২৫), মারুফ ঢালী (৩০), পাঁচগাঁও ইউনিয়নের খলাগাঁও এলাকার শফি ঢালীর ছেলে রুবেল ঢালী (৩০), রনী ঢালী (৩২), জহির শেখের ছেলে সোহেল শেখ (৩০), জুয়েল শেখ, কামারখাড়া ইউনিয়নের মালিগাঁও এলাকার মৃত ইয়াজউদ্দিনের ছেলে জহির শেখ (৫৫), রহিম ঢালীর স্ত্রী ময়না বেগম (৫০), মৃত আমির ঢালীর ছেলে শফি ঢালী(৫৫), মৃত মন্তাজউদ্দিন ঢালীর ছেলে সুলতান ঢালী (৫৮), সুলতান ঢালীর ছেলে আলভী ঢালী (২৩) হামলা করেন।

এ সময় চিৎকার শুনে ঘটনাস্থল থেকে আশপাশের লোকজনের সহায়তায় মো. মন্টু ঢালীসহ সেন্টু ঢালী, রফিক ঢালী ও শাহাদাত ঢালীকে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয। তারা সেখানে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।

স্থানীয়রা জানান, শফি ঢালীর নির্দেশেই রহিম ঢালীসহ বেশ কয়েকজন মিলে মন্টু ঢালী, সেন্টু ঢালীসহ কয়েকজনের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। রহিম ঢালী, শফি ঢালীরা এলাকায় প্রভাবশালী। তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে চায় না। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দ্রুত আইনের আওয়তায় আনার জোর দাবি স্থানীয়দের।

এ ঘটনায় হামলার হুকুমদাতা শফি ঢালীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে মো. মন্টু ঢালীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘সামাজিক একটা বিষয় নিয়ে মসজিদে বসা (সালিশ) হয়েছিল। সমাজের মুরব্বি ও মসজিদের মুসল্লিরা উপস্থিত ছিল। সেখানে ওই পক্ষ দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ওই পক্ষের কিছু মানুষ ক্ষমা চেয়েছে, কিছু মানুষ ক্ষমা চায়নি। পরে বাড়ি ফেরার পথে আমিসহ আমার ভাইদের এবং ভাগিনাকেও বেধড়ক মারধর করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। তদন্তও হয়েছে। কিন্তু এখন পুলিশ বলছে, আপনারা কোর্টে গিয়ে মামলা করেন, থানায় মামলা নেওয়া যাবে না। পুলিশের এমন কথায় আমরা বিচলিত! নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

টঙ্গীবাড়ী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিদুল ইসলাম বলেন, ‘যতটুকু শুনেছি তারা কোর্টে মামলা করতে পারে। তবে এ বিষয়ে আমি ক্লিয়ার কিছু জানি না।’

  • নাজমুল ইসলাম পিন্টু/এমজে
Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর