নেত্রকোনার পূর্বধলায় ধর্ষণ থেকে বাঁচতে পারভেজ মিয়া (২৫) নামের যুবকের পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছেন এক তরুণী। উপজেলার রাজধলা বিলের পশ্চিমপাড়ে পরিত্যক্ত একটি ঘরে সোমবার (৭ এপ্রিল) এ ঘটনা ঘটে।

পারভেজ উপজেলার ত্রিমহনি গ্রামের মন্নান বেপারীর পুত্র এবং ব্যক্তি জীবনে তিনি বিবাহিত। তিনি সদর ইউনিয়নের তারাকান্দা গ্রামে তার মামার বাড়িতে থাকতেন এবং পূর্বধলা বাজারে তার মামার লেপ-তোষকের দোকানে কাজ করতেন। 

ওই তরুণী রাবেয়া আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী। 

এ ঘটানায় আহত পারভেজ মিয়াকে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে উদ্বার করে পূর্বধলা হাসাপাতালে নিয়ে আসেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

ওই তরুণী জানান, পূর্বধলা বাজারের সোনালী স্টোরের কর্মচারী মো. জাহিদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমিক জাহিদের সঙ্গে দেখা করতে ওইদিন পূর্বধলা বাজারে আসেন তিনি। পরে জাহিদ তার বন্ধু পারভেজকে ডেকে নিয়ে আসে এবং বিভিন্ন ধরনের কথা বলে তাকে নিয়ে রাজধলা বিলপাড়ে নিয়ে যায়।

পরে তারা দুজন মিলে তাকে বিলের পশ্চিম পাশে একটি বাগানের পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় ওই তরুণীর ব্যাগে থাকা একটি ব্লেড দিয়ে পারভেজের পুরুষাঙ্গে কেটে দেন। এতে পারভেজের পুরুষাঙ্গের অর্ধেক কেটে যায়। পরে তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাকে পূর্বধলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

তবে এ বিষয়ে আহত পারভেজের পরিবার বলছে ভিন্ন কথা। পরিবারের সদস্যরা জানান, সোমবার বিকালের দিকে দোকান থেকে মোটরসাইকেলযোগে ২ তরুণ পারভেজ ডেকে নিয়ে যায়। পরে ৪/৫ জন তরুণ রাজধলা বিল পাড়ের পশ্চিম পাশের একটি বাগানের পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ব্লেড দিয়ে পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছে। এ সময় ওই তরুণীও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পূর্বপরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।

পারভেজের অবস্থা স্থিতিশীল হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তারা জানান।

পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, পারভেজের পুরুষাঙ্গের ৫০ ভাগ কেটে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নুরুল আলম জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। তবে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

• শফিকুল ইসলাম খান/এমজে