দুই ‘প্রতারক’ গ্রেপ্তার
পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা আত্মসাৎ

বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:১২

বরগুনায় পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর উত্তরা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) তাদেরকে বরগুনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের (সদর) কার্যালয়ে উপস্থিত করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া দুজন হলেন, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার গাবুয়া গ্রামের হক মেম্বারের ছেলে সৈয়দ আহমেদ প্রিন্স (৪০) এবং বেতাগীর গ্রামদ্দন এলাকার আমজেদ হোসেন খানের ছেলে মো. মনির হোসেন।
পুলিশ জানায়, ২০২৪ সালের ১ নভেম্বর বেতাগী বুড়া মজুমদার ইউনিয়নের গ্রামার্দ্দন গ্রামের বাসিন্দা ও বামনা সরকারি কলেজের এইচএসসির ২য় বর্ষের ছাত্র মো. ইব্রাহিম গোলদারকে (২০) ছয় লাখ টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ দেওয়ার চুক্তি করেন সৈয়দ আহমেদ প্রিন্স (৪০) ও মো. মনির হোসেন খান (৪০)। প্রতারক মনির ও প্রিন্স ভুক্তভোগী পরিবারের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে বিকাশ ও ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে সর্বমোট ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।
মনির ও প্রিন্স চাকরি দিতে ব্যর্থ হলে মো. ইব্রাহিমের পরিবার টাকা ফেরৎ চায়। কিন্তু তারা সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় ভিকটিম মো. ইব্রাহিম (২০) নিয়োগ পরীক্ষায় অকৃতকার্য ও তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে ভিকটিম মো. ইব্রাহিমের দাদা মো. জলিল গোলদার (৫৮) বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে বেতাগী থানায় প্রতারণার মামলা করেন।
মামলার প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়। আসামিদের তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে জড়িত দুই প্রতারককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আবদুল হালিম বলেন, পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে কোনো আর্থিক লেনদেন হয় না। সাধারণ মানুষ সচেতন হলে প্রতারকরা করার সুযোগ পাবে না।
তিনি আরও বলেন, প্রতারকচক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী তাদেরকে কোর্টে পাঠানো হবে।
- সানাউল্লাহ/এমজে