Logo

সারাদেশ

কটিয়াদী হাসপাতালে ডাক্তার সংকটে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

নবনির্মিত ভবন তালাবদ্ধ

Icon

কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০৮

কটিয়াদী হাসপাতালে ডাক্তার সংকটে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম। ৩১ জন ডাক্তারের অনুমোদিত পদের বিপরীতে বর্তমানে কার্যক্রম চলছে মাত্র ১০ জন ডাক্তার দিয়ে। এর মধ্যেই প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৮০০ জন রোগী আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসছেন। হাসপাতালের সীমিত জনবল, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।  

এদিকে ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১০০ শয্যার আধুনিক হাসপাতাল ভবন ব্যবহারের অনুমোদন না থাকায় তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ভবনটি চালু হলে আধুনিক ল্যাব, এক্সরে, ইসিজি, আল্ট্রাসনোগ্রাফি, অপারেশন থিয়েটার ও অক্সিজেন প্লান্টসহ বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যেত। বর্তমানে এই হাসপাতালই একমাত্র আশার আলো হলেও প্রশাসনিক অনুমোদনের অভাবে তার দরজা খোলা হয়নি।  

জানা গেছে, ৫০ শয্যার কাঠামোয় ৩১টি চিকিৎসক পদের মধ্যে পদায়ন আছে ১৫ জনের। তবে এর মধ্যে ৫ জন রয়েছেন ডেপুটেশনে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আছেন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে। ফলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ১০ জন ডাক্তার দিয়ে চলছে পুরো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ৪টি ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসাসেবা।  

সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালে টিকেট কাউন্টার অত্যন্ত ছোট এবং অব্যবস্থাপনায় ভরা। নারী-পুরুষ ঠেলাঠেলি করে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট নিতে হচ্ছে। ডাক্তার কম থাকায় অনেকে দীর্ঘ অপেক্ষার পরও চিকিৎসা না নিয়েই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।  

উপজেলার আচমিতা থেকে আসা রোগী মর্জিনা বলেন, ‘বড় বড় বিল্ডিং অইছে। কিন্তু ডাক্তার কম, লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট নেওন লাগে, আবার ডাক্তারের রুমে গিয়া লাইনে খাড়ান লাগে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করন লাগে বাইরের ক্লিনিক থাইক্ক্যা। ওষুধ কিছু দেয়, বাকিগুলো বাইরে থাইক্ক্যা কিনুন লাগে।’ 

ভারপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ঈসা খাঁন জানান, ‘প্রতিদিন ৭-৮শ’ রোগী আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসেন। কিশোরগঞ্জ জেলার মধ্যে কটিয়াদী হাসপাতালের জরুরি বিভাগ অন্যতম ব্যস্ততম। একজন ডাক্তার ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করছেন। ডাক্তারের সংখ্যা কম থাকায় আমরা হিমশিম খাচ্ছি। ১০০ শয্যার কার্যক্রম চালুর জন্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছি।’  

এলাকাবাসীর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে তালাবদ্ধ পড়ে থাকা নবনির্মিত হাসপাতাল ভবন দ্রুত চালু করা হোক। তা না হলে কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। একইসঙ্গে প্রয়োজনীয় ডাক্তার ও জনবল নিয়োগের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছেন তারা।

এমএইচএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর