চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ১৩টি বসতঘর পুড়ে গেছে। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের হাদিফকিরহাট বাজারে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।  

খবর পেয়ে মিরসরাই ও সীতাকুন্ড ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট প্রায় ২ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি, আগুনে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রসহ প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।  

ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- জাহাঙ্গীর আলমের ওয়ার্কশপ, জাহেদুল ইসলাম মুন্নার আইসক্রিম ফ্যাক্টরি, এবং তাজমহল কমিউনিটি সেন্টারের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া, আগুনে পুড়ে গেছে ভাড়া থাকা ১৩টি বসতঘর, যেগুলোর মালিক ছিলেন তারেকুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, কবির হোসেন, মোহাম্মদ খোকন, চঞ্চল, হোসেন, ডালিম, টিটু, তোজা, আসাদুল, মতিউর রহমান মতি, মো. আলী এবং ফাতেমা।

ক্ষতিগ্রস্ত কবির হোসেন বলেন, ‘আমরা ১৩ পরিবার এখানে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছি। সবাই বিভিন্ন জায়গায় ব্যবসা ও কাজ করে। মঙ্গলবার রাত ২টার সময় সবাই গভীর ঘুমে ছিল। হঠাৎ আগুনে সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কোনোভাবে পরনের কাপড় ছাড়া কিছুই রক্ষা করতে পারিনি। এখন আমরা কী খাবো? কোথায় থাকবো?’  

আরেক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আগুনে আমার ওয়ার্কশপের সব পুড়ে গেছে। কিছুই রক্ষা করতে পারিনি। আমার প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’  

জাহেদুল ইসলাম মুন্না বলেন, ‘আমার আইসক্রিম ফ্যাক্টরি ও স্ক্র্যাপের দোকান পুড়ে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে অগ্নিকাণ্ডে অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।’  

এ বিষয়ে মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের লিডার হায়াতুন্নবী বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে হাদিফকিরহাট বাজারে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। মিরসরাই ও সীতাকুন্ডসহ তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল। দ্রুত সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর ফলে পাশের বড় বিল্ডিংটি রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।’

সাফায়েত মাহাদী/এমআই