Logo

সারাদেশ

মাদ্রাসা-ছাত্রীদের কক্ষে সিসি ক্যামেরা, ঘটনা কী?

Icon

বিবিসি

প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ১৯:১৮

মাদ্রাসা-ছাত্রীদের কক্ষে সিসি ক্যামেরা, ঘটনা কী?

যশোরের শার্শা উপজেলায় নারী শিক্ষার্থীদের জন্য পরিচালিত একটি মাদ্রাসার ছাত্রী ও শিক্ষকদের আবাসিক কক্ষে সিসি ক্যামেরা লাগানোর অভিযোগে সেখানে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। তবে মাদ্রাসার সুপারের দাবি- নিরাপত্তার জন্য ১৪টি ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল।

বুধবার শার্শার নাভারন এলাকায় ফতেমাতুজ জোহরা কওমি মাদ্রাসায় পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান বলেন, পুলিশের কাছে একজন অভিভাবক সিসি ক্যামেরা নিয়ে অভিযোগ জানান।

তিনি জানান, সেই অভিযোগের সূত্র ধরে মাদ্রাসাটিতে গিয়ে নারী পুলিশ সদস্যরা ছাত্রীদের থাকার জায়গায় সিসি ক্যামেরা দেখতে পান। পরে হার্ডডিস্কটি নিয়ে আসা হয়।

অবশ্য মাদ্রাসার সুপার মুফতি আবু তাহের বলছেন, মাদ্রাসায় যে ঘরে শিক্ষা কার্যক্রম চলে সেটিই থাকার ঘর হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এর আগে অনেক চুরির নালিশ আসায় তারা সিসি ক্যামেরা বসান। কোনো আপত্তিকর ছবি ধারণ করার উদ্দেশ্যে সেগুলো লাগানো হয়নি বলে দাবি তার।

তিনি বলেন, সিসি ক্যামেরা আমার রুমেও আছে। ক্যামেরা বিষয়টা সবাই জানত। আর ক্যামেরাগুলো মনিটরিং করতেন প্রধান শিক্ষিকা।

এদিকে হার্ডডিস্কের ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন যশোর জেলা পুলিশের নাভারন সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান। সিসি ক্যামেরাগুলো নাইট ভিশন প্রযুক্তির বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, এখনো কোনো হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ডের প্রমাণ মেলেনি। তবে মেয়েদের খাওয়া-ঘুমের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডের ভিডিও রয়েছে সেখানে। কারো ব্যক্তিগত গোপনীয়তা এভাবে লঙ্ঘন করার সুযোগ নেই।

নাহিয়ান আরও বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অভিযোগ বা হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ডের প্রমাণ না পাওয়ায় এখনো এই ঘটনায় কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

মাদ্রাসাটিতে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। তবে কতজন আবাসিক থাকে তার সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেননি মাদ্রাসা সুপার। তিনি বলেন, ‘৬০ থেকে ৭০ জন ছাত্রী মাদ্রাসায় থাকে। তাদের বেশিরভাগের বয়স আট থেকে ১৪ বছরের মধ্যে।’ 

ডিআর/বিএইচ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর