Logo

সারাদেশ

সুনামগঞ্জে খেয়া পারাপারে দুর্ভোগে হাজারো মানুষ

Icon

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৯:০৫

সুনামগঞ্জে খেয়া পারাপারে দুর্ভোগে হাজারো মানুষ

সুনামগঞ্জ পৌর শহরের চাঁদনিঘাট এলাকা। ছবি : বাংলাদেশের খবর

সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ৯টি গুরুত্বপূর্ণ খেয়াঘাটে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন হাজারো মানুষ। বেশিরভাগ ঘাটের উঠানামার পথ কাঁচা। আর যেগুলো পাকা, সেগুলোতেও রয়েছে নানা অসঙ্গতি। উঁচু-নিচু ঘাট দিয়ে পারাপারের সময় জীবনের ঝুঁকি নিতে হচ্ছে যাত্রীদের, ঘটছে দুর্ঘটনাও। অনেক ঘাটে রয়েছে আবর্জনার স্তূপ। যেখান থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।

সুরমা নদীতীরবর্তী এলাকা থেকে শহরে আসেন লাখো মানুষ—নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা ও অফিসিয়াল কাজের জন্য। ছাত্রছাত্রীদেরও যাতায়াতে এ ঘাটগুলোর গুরুত্ব অপরিসীম।

ওয়েজখালী, বড়পাড়া, সাহেববাড়ী, চাঁদনিঘাট, পাইকারি বাজার, লঞ্চঘাট, রিভারভিউ, হালুয়ারঘাট ও খাইমতর ঘাটে প্রতিদিন ভিড় থাকে। এসব ঘাট দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছেন যাত্রীরা। বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও গর্ভবতী নারীদের ভোগান্তি আরও বেশি। ঘাটগুলো থেকে প্রতিবছর লক্ষাধিক টাকা রাজস্ব আদায় হলেও উন্নয়ন হচ্ছে না।

ওয়েজখালী ফেরিঘাটের মাঝি ইসলাম উদ্দিন বলেন, বর্ষায় ঘাট কাদাময় ও পিচ্ছিল হয়ে ওঠে, দুর্ঘটনা ঘটে প্রায়ই। হেমন্তকালেও ধুলাবালিতে চলাচল কষ্টকর।

স্থানীয় বাসিন্দা ওলি মিয়া জানান, একপাশে ঘাট পাকা হলেও অপরপাশ এখনো কাঁচা। বর্ষায় চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

শীলা রাণী দাস বলেন, ‘ওয়েজখালী ঘাটে উঠানামা খুব কষ্টের, ব্লক না থাকায় পা পিছলে পড়ে যাই প্রায়ই।’

সবজি বাজার ঘাটের মাঝি আলতাফ মিয়া বলেন, ‘সিঁড়ি ভাঙা, পাশে ময়লার স্তূপ—দুর্গন্ধে যাত্রীরা নাক চেপে চলাচল করেন।’

ইব্রাহীমপুরের মিন্টু মিয়া জানান, ‘ভাঙা সিঁড়ি ও দুর্গন্ধ আমাদের প্রতিদিনের সঙ্গী।’

খাইমতর এলাকার আপতাব উদ্দিন বলেন, ‘ফেরিঘাটের কিছু অংশ পাকা হলেও অনেক জায়গা ভেঙে গেছে। দ্রুত মেরামত প্রয়োজন।’

এ বিষয়ে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কালী কৃষ্ণ পাল বলেন, ‘বাজেট সীমিত হওয়ায় আপাতত লঞ্চঘাটে কাজ হচ্ছে। ভবিষ্যতে চাঁদনিঘাটসহ অন্যান্য ঘাট সংস্কার করা হবে।’

জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদের প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া জানান, ‘জেলা পরিষদের আওতাধীন ঘাটগুলোর দুর্ভোগ কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মো. আব্দুল হালিম/এআরএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর