নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে ৫ কৃষকের মৃত্যু

নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২৩:৫৩

প্রতীকী ছবি
নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জের পৃথক স্থানে বজ্রপাতে মোট পাঁচ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে নেত্রকোনায় তিন ও সুনামগঞ্জে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকেল থেকে সন্ধ্যা নাগাদ বজ্রপাতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
নেত্রকোনার খালিয়াজুরীর হাওর এলাকায় পৃথক স্থানে বজ্রপাতে তিনজন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন—উপজেলার রসুলপুর গ্রামের সম্বর আলীর ছেলে নিজাম উদ্দিন (২৫), কৃষ্ণপুর গ্রামের রমজান মিয়ার ছেলে কবীর হোসেন (৪৩) ও হায়াতপুর গ্রামের মৃত রসিদ সরকারের ছেলে রাখাল সরকার (৬০)। এ ছাড়া রনু মিয়া নামের আরও একজন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রসুলপুর গ্রামের নিজাম উদ্দীন বিকেলে সুইসগেট হাওরে কাজ করতে যান। বজ্রপাতে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। তার সঙ্গে থাকা একই গ্রামের রানু মিয়া নামের একজন গুরুতর আহত হন।
অপরদিকে কৃষ্ণপুর গ্রামের কবির হোসেন বিকেলে গরু নিয়ে আসার সময় বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জের ধীরাই হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এ ছাড়া উপজেলার নগর ইউনিয়নের হায়াতপুর গ্রামের মৃত রশিদ সরকারের ছেলে রাখাল সরকার হাওর থেকে গরু নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে মৃত্যুবরণ করেন।
আর সুনামগঞ্জের ছাতক ও শান্তিগঞ্জ উপজেলায় পৃথক স্থানে অপর দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের হায়দরপুর গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে মো. আমির উদ্দিন (৩৮) অন্যজন শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের নোয়াগাও গ্রামের কৃষক দেলোয়ার হোসেন (৪০)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে নিজ বাড়ির পাশ থেকে হাঁস আনতে গিয়ে তিনি বজ্রপাতের শিকার হন। ঘটনাস্থলেই মারা যান।
ওসি বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তিনি লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছেন।
অন্যদিকে একই সময়ে গরু আনতে গিয়ে শান্তিগঞ্জে বজ্রপাতে দেলোয়ার হোসেন নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের পুটিয়া নদীর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় ওেই কৃষককে কৈতক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শান্তিগঞ্জ থানার ওসি আকরাম আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ওএফ