Logo

সারাদেশ

স্থানীয়দের অভিযোগ

মুন্সীগঞ্জে তদন্তে গিয়ে অর্থবাণিজ্যে ‘জড়ালেন’ এসআই

Icon

মাল্টিমিডিয়া করেসপন্ডেন্ট, মুন্সীগঞ্জ

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৮

মুন্সীগঞ্জে তদন্তে গিয়ে অর্থবাণিজ্যে ‘জড়ালেন’ এসআই

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে একটি ঘটনার তদন্তে গিয়ে লৌহজং থানার এসআই জয়নাল আবেদীন ‘অর্থবাণিজ্যে’ জড়িয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে দরকষাকষির মাধ্যমে ৩০হাজার টাকার বিনিময়ে ওই ঘটনার দফারফা করার চেষ্টা হয় বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কলমা ইউনিয়ন ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফারুক হাওলাদারের ছেলে রানা হাওলাদারের বিদেশি মদ নাড়চাড়া করছেন-এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। কানাডা প্রবাসী মো. মতিউর রহমান রিয়াদ নামক ফেসবুক আইডি থেকে সম্প্রতি ২৫ সেকেন্ডের এ ভিডিও আপলোড করা হয়। পরে তা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। এতে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।

ভিডিওটিতে দেখা গেছে, রানা হাওলাদারের সামনে ৩০/৩৫টি বিদেশি মদের বোতল রয়েছে। তিনিসহ কয়েকজন তা হাত দিয়ে নাড়চাড়া করছেন। প্যাকেজিং খুলে সাজাচ্ছেন।

বিদেশি মদের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি লৌহজং থানা পুলিশের নজরে আসলে এসআই জয়নাল আবেদীনসহ কয়েকজন অফিসার ঘটনা তদন্তে যান। সেলিম মোড়লের বাড়িঘর সার্চ করে কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। সন্ধ্যা ৬টার দিকে কলমা ইউনিয়ন পরিষদের ভিতরে কলমা বাজার সেক্রেটারি মোতালেব, ভাইরাল রানার মামার সাথে বসে এসআই জয়নাল আবেদীন কথাবার্তা বলেন। দরকষাকষির মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে লেনদেনের সময় সামনে থাকা দাবি করা এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ১২ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টার দিকে এসআই জয়নাল, বাজার সেক্রেটারি, রানার মামাসহ কয়েকজন ইউনিয়ন পরিষদের ভেতরে যান। রানার মামার সাথে এসআই জয়নাল আবেদীনের ৩০ হাজার টাকা লেনদেন হয়। আমি ঘুষ লেনদেন পছন্দ করি না। আমি যদি আগে বুঝতাম, তাহলে ভিডিও করে রাখতাম, ফেসবুকে ভাইরাল করে দিতাম।’

এ বিষয়ে রানা হাওলাদারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ভাইরাল হওয়া ভিডিও’র ব্যক্তিকে নিজের ছেলে দাবি করে রানা হাওলাদারের বাবা ফারুক হাওলাদার বলেন,  ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার আমার আত্মীয়ের গায়ে হলুদ ছিল। ঢাকা থেকে আসা কিছু অতিথি নীলপানি (মদ) খেতে চেয়েছিল। এ জন্য বোতলগুলো আনা হয়েছিল। আমার ছেলে এতে জড়িত না। 

৩০ হাজার টাকায় পুলিশের সাথে রফা করার প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে এসআই জয়নাল আবেদীনকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

লৌহজং থানার ওসি মো. হারুন অর রশিদ বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমরা জিহাদ ঘোষণা করেছি। মাদককাণ্ডে কাউকে বিন্দু পরিমান ছাড় দেওয়া হবে না। তবে বিদেশি মদের বোতল ভাইরালের বিষয় হচ্ছে, হলুদের অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে আগত মেহমানরা মদ এনেছিল। পরে তারা ঢাকায় ফিরে যান। 

এসআই’র বিরুদ্ধে ৩০ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমার জানা নেই, ভিত্তিহীন।

নাজমুল ইসলাম পিন্টু/এমজে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর