Logo

সারাদেশ

বিধবা আরেফার পরিবারকে উচ্ছেদের চেষ্টা, পাশে দাঁড়াচ্ছে না কেউ

Icon

পিরোজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩৭

বিধবা আরেফার পরিবারকে উচ্ছেদের চেষ্টা, পাশে দাঁড়াচ্ছে না কেউ

পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় এক বিধবা বৃদ্ধার পরিবারকে উচ্ছেদের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে। এই বৃদ্ধার পরিবারকে উচ্ছেদ করতে একাধিকবার হামলা করা হয়েছে। ওই বৃদ্ধার নাম আরেফা বেগম। তিনি উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের উত্তর কলারণ গ্রামের মৃত আ. রহমান হাওলাদারের স্ত্রী।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) আরেফা বেগম ও তার পুত্রবধূ কলি বেগম তাদের উঠানে একটি মুরগির ঘর নিমার্ণ করছিলেন। এ সময় প্রতিবেশী হাবিবুর রহমান তার স্ত্রী হাওয়া বেগম ও নাতি মো. আরিফ তাদের ওপর হামলা করে মুরগির ঘর ভেঙে ফেলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। 

এ ছাড়া গৃহবধূ কলি বেগম ও তার শাশুড়িকে মারধর করে শরীরে থাকা পোশাক ছিড়ে ফেলা হয়। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে ওই পরিবারটির ওপর অত্যাচার, মামলা-হামলা করে উচ্ছেদের চেষ্টা হচ্ছে বলে ভুক্তভোগী জানান।

আক্ষেপ করে বিধবা আরেফা বেগম (৬৫) বলেন, ‘মোগো যাওয়ার যায়গা নাই, বিচার না পাইলে মোরা মইরা যামু, ওরা মোর পোলাডারে মামলা দিয়া বাড়ি থেইকা খেদাইছে এভাবে।’ 

বিধবা আরেফা বেগম অভিযোগ করেন, ‘একমাত্র ছেলেকে মামলায় ফাঁসিয়ে বাড়িছাড়া করেছে। হতদরিদ্র হওয়ায় অভিযুক্তদের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করতে পারছি না। বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও সঠিক বিচার মিলছে না।’ 

আরেফা বেগম একটি জড়াজীর্ণ ঘরে পুত্রবধূ ও ৪ নাতি-নাতনীকে নিয়ে অনাহারে-অধার্হারে দিন কাটাচ্ছেন। তাদের পাশে দাঁড়ানোর মতো একজন মানুষও নেই বলে অভিযোগ করেন এই বৃদ্ধা।

ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমার স্বামীর ভিটা ও ক্রয়কৃত জমি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য প্রতিবেশী হাবিবুর রহমান আমাদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে। তারা ক্ষমতাশালী হওয়ায় আমরা কারো কাছে গিয়ে বিচার পাই না। এখন যদি সঠিক বিচার না পাই, তাহলে আমরা মইরা যামু। কারণ আমাদের তো যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। আমার স্বামীও ওদের অত্যাচারে অসুস্থ হয়ে মারা গেছে। 

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান বলেন, আমার জায়গায় তার মুরগির ঘর বানাতে গেলে আমি তাদের বাধা দেই এবং ঘরটি সরিয়ে ফেলি। 

চন্ডিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান বলেন, হতদরিদ্র বিধবার পরিবারকে দীর্ঘদিন ধরে হাবিবুর রহমান উচ্ছেদ করার চেষ্টা করছে। হাবিবুর রহমান কোনো সালিশ-বিচার মানে না। 

ইন্দুরকানী থানার ওসি মারুফ হোসেন বলেন, শাশুড়ি ও গৃহবধূকে মারধরের বিষয় কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

সৈয়দ বশির আহম্মেদ/এমজে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর