Logo

সারাদেশ

মহিপুরে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন, আসামিরা অধরা

Icon

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০৯

মহিপুরে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন, আসামিরা অধরা

পটুয়াখালীর মহিপুরে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে নিহতের মা হাফিজা বেগম বাদী হয়ে মহিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও আসামিরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, পুলিশ ইচ্ছা করেই আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না। 

নিহত মাফিয়া বেগমের ভাই বনি আমিন বলেন, আমার বোনকে মারধরের পর বোন জামাইসহ পরিবারের লোকজন গলা টিপে হত্যা করে। পরে অসুস্থতার নাটক সাজিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় বোনকে হাসপাতালে রেখেই সকলে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় আমরা মামলা করতে গেলে মহিপুর থানা পুলিশ প্রথমে গড়িমসি করে। পরে ১ এপ্রিল মামলা আমলে নিলেও কোনো আসামিকে তারা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়নি। আসামিদের লোকেশন শনাক্ত করে পুলিশকে খবর দিলেও অজ্ঞাত কারণে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, পটুয়াখালীর মহিপুর থানার কুয়াকাটায় মেহেদী হাসান (২৩) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী মাফিয়া বেগমকে (১৭) গলা টিপে হত্যার অভিযোগ ওঠে। গত ২০ মার্চ রাত সাড়ে আটটার দিকে কুয়াকাটা পৌরসভার পাঞ্জুপাড়া গ্রামের স্বামীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তবে মাফিয়ার পরিবার এটি হত্যা বললেও মেহেদীর পরিবার বলছে এটি আত্মহত্যা। এ ঘটনায় মহিপুর থানায় একটি মামলা হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এ নিয়ে চাপা ক্ষোভ রয়েছে মাফিয়ার পরিবারের। 

মাফিয়ার মা হাফিজা বেগম ও ভাই বনি আমিনসহ তাদের পারিবারের সদস্যদের অভিযোগ, প্রায় ৪ মাস আগে পারবারিকভাবে একই গ্রামের মেহেদী হাসানের সঙ্গে মাফিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী মেহেদী যৌতুকের দাবিতে মাফিয়াকে নির্যাতন করতেন। 

গত ২০ মার্চ দুপুরে মাফিয়া তার ছোটবোন মারিয়াকে (১০) তার স্বামীর বাড়িতে যেতে বলেন। এ সময় মারিয়া তাদের বাড়িতে গিয়ে মাফিয়াকে ব্যাপক মারধর করছে দেখতে পেয়ে বাড়িতে এসে বলেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে মেহেদী তার শ্বশুর হারিছকে ফোন দিয়ে মাফিয়া গলায় দড়ি দিয়েছেন বলে জানান।

পরে মা হাফিজা বেগম ও বাবা হারিছ তাদের বাড়িতে গিয়ে মাফিয়াকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে মাফিয়ার পরিবার এটিকে হত্যা বললেও মেহেদীর পরিবারের দাবি মাফিয়া সবার অগোচরে ঘরের দোতলায় গিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

মামলার বাদী মাফিয়া বেগমের মা হাফিজা বেগম আক্ষেপ করে বলেন, আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। ঘটনার ২৭ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কোনোরকম সহযোগিতা করছে না। আসামিরা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় আমাদের চোখের সামনে। 

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবু হানিফ বলেন, ঘটনাটি হত্যা না কি আত্মহত্যা, সে বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে। 

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত। 

জাকারিয়া জাহিদ/এমজে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর