কুড়িগ্রামে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে বদলেছে কারাগারের চিত্র

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:৫৩

ছবি : বাংলাদেশের খবর
জুলাই আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের ঘটনায় সারাদেশের মতো কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রায় অচল হয়ে পড়েছিল। কয়েদিদের নিরাপত্তা ও ত্রুটিপূর্ণ ব্যবস্থাপনা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নজরে আসে। এরপর জেলা কারাগারের নিরাপত্তার দায়িত্বে সহযোগিতার জন্য যুক্ত হয় সেনাবাহিনীর ৯ সদস্য। তারা বিভিন্ন শিফটে জেল পুলিশের সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করে জেলা কারাগারের আমূল পরিবর্তন এনেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
নাগেশ্বরী থেকে আসা এক কয়েদির আত্মীয় শামীম মিয়া বলেন, ৫ আগস্টের আগে কয়েদিদের সঙ্গে দেখা করা, তাদের জন্য শুকনো খাবার পাঠানো, পিসি (কয়েদিদের জন্য টাকা) পাঠানো—এসব ক্ষেত্রে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যেত। কিন্তু বর্তমানে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে কারাগারে শৃঙ্খলা ফিরেছে।
মো. নুর ইসলাম সৈকত বলেন, আগে কয়েদির সঙ্গে দেখা করতে টাকা লাগত, এখন লাগে না। আবার পিসি পাঠালে কয়েদিরা কম টাকা পেত। এখন সে সমস্যাগুলোও হচ্ছে না। খাবারের মানও আগের তুলনায় ভালো হয়েছে।
কুড়িগ্রাম ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন সাফায়েত হোসেন বলেন, ৫ আগস্টের পর দেশের কারাগারগুলো অরক্ষিত হয়ে পড়েছিল। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দক্ষতার সঙ্গে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। সেই সঙ্গে কারাগারের ভেতরের নানা অনিয়ম, খাবারের মান যাচাই, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ সব কিছুতেই আমরা নজর রাখছি। জেলার আইনশৃঙ্খলা, মাদক নিয়ন্ত্রণসহ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা কাজ করে যাচ্ছি।
কুড়িগ্রাম জেলার জেল সুপার এ.জি মাহমুদ বলেন, ৫ আগস্টের আগে কারাগারে অনিয়ম ও ত্রুটি ছিল। আমরা সেগুলো দূর করেছি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিরাপত্তাসহ সবক্ষেত্রেই আমাদের সহযোগিতা করছে। তারা প্রতিদিন খাবারের মান যাচাই করছে। সবার সার্বিক সহযোগিতায় যাতে কুড়িগ্রামবাসী ভালো সেবা পায়। আমরা সে চেষ্টাই করছি।
ফজলুল করিম ফারাজী/এমবি