Logo

সারাদেশ

‘বিএনপি নেতার মদদে’ চাঁদাবাজির মামলা, নিঃশর্ত মুক্তির দাবি

Icon

নাটোর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:৩২

‘বিএনপি নেতার মদদে’ চাঁদাবাজির মামলা, নিঃশর্ত মুক্তির দাবি

ছবি : বাংলাদেশের খবর

নাটোরের গুরুদাসপুরে একটি কওমি ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১২ জনকে ‘চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর’ অভিযোগ উঠেছে জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে গুরুদাসপুরের সিধুলী চলনালী পোয়ালশুড়া হযরত ওসমান গনি (রা.) কওমি ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা মাঠে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ আনেন এলাকাবাসী ও মাদ্রাসা সংশ্লিষ্টরা।

মাদ্রাসা কমিটির সূত্রে জানা যায়, অস্থায়ী শিধুলী কাঁচা বাজারে মাদ্রাসা ও এতিমখানা পরিচালনার জন্য রশিদের মাধ্যমে স্থানীয়দের কাছ থেকে স্বেচ্ছায় দান সংগ্রহ করা হতো। 

এ ঘটনায় মাদ্রাসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শাহাদৎ হোসেন, মো. জাকারিয়াসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেন বিএনপি নেতা আব্দুল আজিজের অনুসারী ছাত্রদল নেতা রুবেল আহমেদ। গত মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সেনা সদস্যরা মাদ্রাসা কমিটির ৮ জনকে থানায় নিয়ে গেলে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবিতে এলাকাবাসী ফুঁসে ওঠেন। তারা বিক্ষোভ, মানববন্ধন, প্রতিবাদসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- হযরত আলী, জারজিস হোসেন, মাওলানা ফরিদ উদ্দিন, ফাতেহুল কবির, মাদ্রাসা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেনের স্ত্রী আছিয়া বেগম এবং আসাদুজ্জামান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা মাদ্রাসার উন্নয়নের জন্য শিধুলী কাঁচা বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে রশিদের মাধ্যমে স্বেচ্ছায় অর্থ সংগ্রহ করতেন। সর্বশেষ গত ২৭ রমজান সিধুলী মাদ্রাসা মাঠে এক জানাজা শেষে বিএনপি নেতা আব্দুল আজিজ মাদ্রাসা অফিসে বসে গ্রামের প্রধান হযরত আলীকে বলেন-তার ছোট ছেলে সোহাগ ও তালবাড়িয়া গ্রামের রুবেল আহমেদ নয়াবাজার হাটের ইজারা নিয়েছেন। ওই হাটটি বেশি টাকায় ইজারা নেওয়ায় তারা ক্ষতির মুখে পড়বেন। এজন্য কাঁচা বাজার থেকে সংগৃহীত অর্থের অর্ধেক নয়াবাজার হাট ইজারাদারকে দিতে বলেন। কিন্তু এ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিএনপি নেতা আব্দুল আজিজ ছাত্রদল নেতাকে দিয়ে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মাদ্রাসা কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা করান।

তারা অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত ৮ জনের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।

অন্যদিকে, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাকে জড়িয়ে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ওই মাদ্রাসার সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিনের বড় ভাই আব্দুল মজিদ। তার নেতৃত্বেই গত ১৫ বছর ধরে এভাবে চাঁদা তোলা হয়। এখনও তা অব্যাহত আছে।

মেহেদী হাসান তানিম/এমবি 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর