Logo

সারাদেশ

সুন্দরবন উপকূলে লবণাক্ত জমিতে তরমুজ চাষে কৃষকের মুখে হাসি

Icon

মোড়েলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬:৩৪

সুন্দরবন উপকূলে লবণাক্ত জমিতে তরমুজ চাষে কৃষকের মুখে হাসি

ছবি : বাংলাদেশের খবর

বাগেরহাটের ৯ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার চরভূমিতে এখন বিস্তীর্ণ তরমুজ ক্ষেতের সমারোহ। বিশেষ করে মঘিয়া, আন্ধারমানিক, চরসোনাকুর ও গাংনী এলাকায় কৃষকরা ব্যাপক তরমুজ উৎপাদন করছেন। উৎপাদিত তরমুজ সাড়ে ৩৬ কোটি টাকা বিক্রির আশা করছেন চাষিরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, কৃষকরা ক্ষেত থেকে তরমুজ তুলে বাজারজাতের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ট্রাক ও ট্রলিতে তরমুজ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হচ্ছে। প্রতিদিন তরমুজ ক্ষেত দেখতে লোকজন ভিড় জমাচ্ছেন।

কচুয়া উপজেলার ৮০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। গতবছর ১০০ হেক্টর জমিতে চাষ হলেও অতি বৃষ্টির কারণে তেমন সাফল্য মেলেনি। তবে এবছর পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হওয়ায় উৎপাদন ভালো হচ্ছে। সাড়ে ৫ কোটি টাকা আয় হলেও এবার ৮০ হেক্টর জমি থেকে আরো ৪ কোটি টাকা আয় হতে পারে বলে কৃষকদের আশা।

কৃষি অফিসের সহযোগিতায় কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ, সার, বালাই নাশক প্রদান করা হয়েছে এবং সার্বক্ষণিক পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে। শ্যালো ইঞ্জিন ও ঢেঁকি কলের মাধ্যমে নিয়মিত পানি সরবরাহ করা হয়।

কৃষক দেবদাস মজুমদার (৩৫) জানিয়েছেন, ৩ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা আয় করেছেন। চরসোনাকুর গ্রামের সুদেব মিস্ত্রি (৪৫) ৩ বিঘা জমি থেকে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা আয় করেছেন।

কৃষি কর্মকর্তা আকাশ বৈরাগী জানান, এবছর ৬৮ শতকের এক বিঘায় ৫০-৬০ হাজার টাকা খরচ হয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা আয় হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে তরমুজ চাষ ব্যাপক লাভজনক হবে।

এছাড়া, মোল্লাহাট উপজেলায় এ বছর ১৩৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। সেচের কোনো সমস্যা ছিল না এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা ভাল ফলনের আশা করছেন। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা কৃষকদের প্রতি সহযোগিতামূলক মনোভাব পোষণ করছেন এবং আরও তরমুজ চাষ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছেন।

এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির/এআরএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর