Logo

সারাদেশ

বগুড়ার শেরপুরে রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

Icon

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৯

বগুড়ার শেরপুরে রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের আমতলা ব্রিজ থেকে পারভবানীপুর আল হেরা মসজিদ পর্যন্ত ১ কিলোমিটার কার্পেটিং রাস্তা নির্মাণ শেষ হওয়ার চার দিন পরেই উঠে যেতে শুরু করেছে। এলাকাবাসী অভিযোগ করছেন, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও প্রকৌশল দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঠিকাদার চক্রের যোগসাজশের ফলেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আল আমিন বলেন, রাস্তা নির্মাণের শুরু থেকেই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। বালির পরিবর্তে মাটিমিশ্রিত বিটবালি ও নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। এসব কারণেই কার্পেটিং টিকছে না। তিনি আরও জানান, বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরকে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

একই অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা মেহেদী, রাশেদ ও ইয়াসিন। তারা বলেন, উপজেলা প্রকৌশলীকে ম্যানেজ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করেছে। যার ফলে নির্মাণের তিন-চার দিনের মধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় কার্পেটিং উঠে গেছে।

ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, নির্মাণের পরেই কার্পেটিং উঠে যাওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কাজের মান খারাপ হওয়ায় কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। এর সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের শাস্তি দাবি করছি।

খামারকান্দি ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাজেদুর রহমান মিলন বলেন, আমি শুনেছি রাস্তার কার্পেটিং উঠে গেছে। যেহেতু কাজটি তদারকি করছেন উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর, তিনিই ভালো বলতে পারবেন। রাস্তা নির্মাণ ও কাজের বিষয়ে আমাদের কোনো কিছুই জানানো হয়নি।

উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল মজিদ বলেন, আমি বাইরে আছি, তাই কোনো তথ্য দিতে পারছি না। তবে কার্পেটিং উঠে যাওয়ার বিষয়ে শুনেছি। 

নির্মাণ কাজে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অনিয়মের কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘খতিয়ে দেখা হচ্ছে কেন কার্পেটিং উঠে গেছে।’ তিনি অফিসে গিয়ে তথ্য দেওয়ার কথা বললেও পরে আর ফোন রিসিভ করেননি।

এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

আব্দুল ওয়াদুদ/এমবি

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর