Logo

সারাদেশ

নরসিংদী

ইউপি মেম্বারকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ বিএনপি কর্মীর বিরুদ্ধে

Icon

নরসিংদী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪৫

ইউপি মেম্বারকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ বিএনপি কর্মীর বিরুদ্ধে

নরসিংদীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে আলোকবালী ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য আমির সরকারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে তার স্ত্রী ইয়াসমীন আক্তার ও বড় ভাই রফিকুল ইসলাম। 

পরিবারের অভিযোগ, পূর্ব শত্রুতার জেরে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের উত্তরপাড়ায় নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক। 

নিহত আমির সরকার (৩০) নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের উত্তরপাড়ান আব্দুল হক মিয়ার ছেলে। তিনি আলোকবালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, গত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন নিয়ে স্থানীয় বিএনপি কর্মী আব্দুল জব্বার মিয়ার (৫৬) সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল আমির সরকারের। ২০২১ সালে একই ওয়ার্ডে নিহত আমির সরকার ও আব্দুল জব্বার ইউপি সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ওই নির্বাচনে আমির সরকার বিজয়ী হয়। তাদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়েও বিরোধ ছিল। সেই ঘটনার ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার দুপুরে বাড়িতে ঢুকে জব্বার ও তার লোকজন কুপিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ পরিবারের।

অভিযুক্ত আব্দুল জব্বার আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল কাইয়ুম মিয়ার সমর্থক।

নিহত আমিরের ভাই সোহরাব মিয়া (২৭) বলেন, ‘সোমবার রাতে আমার বড় ভাই রফিকুল ইসলাম ৯ বছর পর মালয়েশিয়া থেকে দেশে আসেন। বিমানবন্দর থেকে রাতে বাসায় নিয়ে আসেন আমির সরকার। পরে মঙ্গলবার দুপুরে আমির সরকার ও রফিকুল ইসলামকে কুপিয়ে জখম করে বিএনপি নেতা জব্বার, তারা মিয়া, আমিরুল, শামসুল হকের ছেলে আলী, জিহাদ, খোকন মিয়াসহ ১০/১২ জন কুপিয়ে আমার ভাই আমিরকে হত্যা করে। আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

নিহতের আরেক ভাই জুয়েল মিয়া বলেন, ‘নির্বাচনে পরাজিত হয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল কাইয়ুম মিয়ার নির্দেশে তার কর্মী জব্বার ও তার লোকজন আমির সরকারকে কুপিয়ে হত্যা করে। জব্বার মিয়া একই ইউনিয়নের নেকজানপুর গ্রামের ৩ জনকে হত্যা মামলার এজহারভুক্ত আসামি।’

নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সজিব সাহা বলেন, ‘আমির সরকারকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তিনি মারা যান। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।’

নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক বলেন, ‘পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে বিরোধ ছিল। তার জেরে আমির সরকারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

সুমন রায়/ওএফ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর