Logo

সারাদেশ

গাজীপুরে যৌথবাহিনীর অভিযান, গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো ৫৬ স্থাপনা

Icon

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:২১

গাজীপুরে যৌথবাহিনীর অভিযান, গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো ৫৬ স্থাপনা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তালতলী মুরগী বাজার, সাইটালিয়া ও উত্তর পেলাইদ এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ৫৬টি স্থাপনায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে ঢাকা বন বিভাগ।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টা শুরু হওয়া এ অভিযান চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এ অভিযানে প্রায় ৮০ কোটি টাকা মূল্যের চার একর বনভূমি দখলমুক্ত করা হয়েছে।

অভিযানটি পরিচালনা করেন শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ব্যারিস্টার সজীব আহমেদ। এতে সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, র‍্যাব, পুলিশ ও বন বিভাগের বিভিন্ন ইউনিট।

বন বিভাগ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গত ৫ আগস্টের পর বনের অসাধু কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় বন বিভাগের জমি দখল করে হাজার হাজার ঘরবাড়ি ও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই দোতলা ভবন, কেউ টিনশেড, আবার কেউ আধাপাকা ঘর নির্মাণ করেছেন। 

স্থানীয় অসাধু ব্যক্তিরা অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন। কয়েক মাস ধরেই বনের লোকজন মাইকিং করে এসব অবৈধ স্থাপনা ভেঙে সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলেছেন। কিন্তু কেউ এ বিষয়ে কর্ণপাত করেননি। অবশেষে শনিবার সকালে যৌথবাহিনীর সহযোগিতায় চারটি এক্সকেভেটর দিয়ে উপজেলার মুরগী বাজার, সাইটালিয়া ও উত্তর পেলাইদ এলাকায় ঘরবাড়ি ভাঙা শুরু করা হয়।

বন বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, যৌথবাহিনীর অভিযানে তিনটি স্পটে প্রায় ৮০ কোটি টাকা মূল্যের চার একর জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে। এর আগে বনভূমি উদ্ধারের স্বার্থে স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য নোটিশ করা হয়েছিল।

উপজেলার মুরগী বাজার এলাকার বাসিন্দা সোহেল রানা বলেন, আমার তিনটা বসতঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটা কক্ষ গত ৫ আগস্টের আগে তৈরি করা হয়েছিল। আমি কত রিকোয়েস্ট করলাম, কিন্তু তারা আমার ঘর ভেঙেই দিল। এতে আমার ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

মুরগী বাজার এলাকার বাসিন্দা প্রতিবন্ধী শহিদ বলেন, ‘আমি একজন প্রতিবন্ধী। এটা জানার পরও তারা আমার ঘরটা ভেঙে দিয়েছে। এখন আমি কীভাবে আবার ঘরটা করবো? এ ঘরটা মোছলেম চেয়ারম্যানের ছেলে তৈরি করে দিয়েছিল। আজ ভাইঙ্গা দিল।’

তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মনিরুজ্জামান মানিক এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি সত্যিই মর্মাহত। আজ আমার ওয়ার্ডে বন বিভাগের লোকজন এ অভিযান চালাচ্ছেন। আমি এখানকার মানুষের জন্য কোনো উপকার করতে পারছি না।’

শ্রীপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, বনের চার একর জমি উদ্ধারে সকাল থেকে অভিযান চলছে। অবৈধভাবে বনের জমি দখল করতে দেওয়া হবে না।

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যারিস্টার সজীব আহমেদ বলেন, আমাদের প্রতিটি পয়েন্টে ইউনিট তৈরি করা হয়েছে। সেখানে সেনাবাহিনী, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, পুলিশ, বন বিভাগের বিভিন্ন বিভাগের সদস্য উপস্থিত থেকে অভিযান পরিচালনা করছেন। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

সোহেল/এমবি 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর