Logo

সারাদেশ

নওগাঁর সবজির বাজার ঊর্ধ্বমুখী

Icon

নওগাঁ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৯:৩৪

নওগাঁর সবজির বাজার ঊর্ধ্বমুখী

ছবি : বাংলাদেশের খবর

নওগাঁর বিভিন্ন বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে দাম। এখন প্রায় অধিকাংশ সবজি কিনতে কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত গুনতে হচ্ছে। পাশাপাশি মাছের দামও ঊর্ধ্বমুখী। ফলে বাজারে অস্বস্তিতে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। তবে ব্রয়লার মুরগি, ডিম ও মুদি পণ্যের দাম এখনও তুলনামূলক স্থিতিশীল রয়েছে।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) নওগাঁ পৌর কাঁচাবাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। শীত মৌসুমের মতো রমজানেও হাতের নাগালে ছিল সবজি। তবে ঈদের পর থেকে ফের বাড়তে শুরু করেছে শাক-সবজির দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কোনো কোনো সবজির কেজিতে দাম বেড়েছে ৫-১৫ টাকা পর্যন্ত।

বিক্রেতারা জানান, শীতকালীন সবজির মৌসুম শেষ হয়ে গ্রীষ্মকালীন সবজি বাজারে আসতে শুরু করায় সরবরাহ কম, তাই দাম বেশি।

নওগাঁ কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা করিম হোসেন বলেন, বাজারে এখনও পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রীষ্মকালীন সবজি আসেনি। আর এসব সবজির উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় মৌসুমের শুরুর দিকে দাম কিছুটা চড়া থাকে। এটা ধীরে ধীরে কমে আসবে।

বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়, বেগুন ৫০-৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কহি ৬০ টাকা, লতি ৭০ টাকা, কাঁকরোল ১২০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা ও টমেটো ৩০ টাকায়।

এছাড়া পেঁপে ৫০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, পটোল ৫০-৬০ টাকা, সজনে ডাটা ১০০-১২০ টাকা এবং ধনেপাতা ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বড় চালকুমড়া প্রতিটি ৫০ টাকায় ও লাউ ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচেরও। খুচরা পর্যায়ে মানভেদে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। পাইকারি পর্যায়ে যা কেনা-বেচা হচ্ছে ৭০ টাকায়।

ক্রেতারা বলছেন, রমজানে সবজির দাম কম থাকলেও ঈদের পর থেকেই শাক-সবজির বাজার চড়া। দাম কমাতে বাজার মনিটরিং অব্যাহত রাখতে হবে। এটা না করা হলে ফের অস্থির হয়ে উঠবে নিত্যপণ্যের বাজার।

এদিকে মাছের বাজারও বেশ চড়া। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বর্তমানে চাষের মাছের সরবরাহ কিছুটা কম। এতে নদীর কিছু মাছের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি জাটকা ধরা বন্ধ থাকায় অনেক নদীতে মাছ আহরণ বন্ধ আছে।

যে কারণে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ইলিশসহ চিংড়ি মাছের দাম। প্রতি ৭০০ গ্রামের এক হালি ইলিশ ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ প্রতি পিস ২/৩ হাজার টাকা দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা। ৪০০-৫০০ গ্রামের ইলিশ মাছের দাম ১২০০-১৫০০ টাকা।

অন্যদিকে দাম বেড়ে প্রতি কেজি চাষের চিংড়ি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং নদীর চিংড়ি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। স্বাভাবিক সময়ে এর দাম কেজিতে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কম থাকে। এছাড়া কই, শিং, শোল, ট্যাংরা ও পুঁটির দাম বাড়তি। চাষের রুই, তেলাপিয়া ও পাঙাশও আগের চেয়ে কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি চাষের রুই-কাতলা ৩২০-৩৬০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০-২৪০ টাকা ও পাঙাশ ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নিয়ামতপুর বাজারের মাছ বিক্রেতা আজিজ হোসেন বলেন, এখন চাষের মাছের সরবরাহ কম। এ কারণে নদীর মাছের চাহিদা বেড়েছে; দামও বেড়েছে।

তবে মাংসের বাজারে এখন অনেকটাই স্বস্তি আছে। ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে বাড়তে থাকে মাংসের দাম। তখন প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২১০ থেকে ২৩০ টাকা দরে। একইভাবে সোনালি জাতের মুরগির কেজি ছিল ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকা। বর্তমানে ব্রয়লার ১৮০-১৯০ এবং সোনালি জাতের মুরগি ২৭০-২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

কিছুটা দাম কমেছে গরুর মাংসেরও। ঈদের আগে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায়। এখন তা কমে ৭৫০ টাকায় মিলছে।

বেশ কয়েক সপ্তাহ নিম্নমুখী থাকা ডিমের দামে তেমন পরিবর্তন দেখা যায়নি। প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। মাসখানেক ধরেই এ দামের আশপাশে রয়েছে ডিম।

এম এ রাজ্জাক/এমবি  

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর