মণিরামপুরে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:৪৬

ছবি : বাংলাদেশের খবর
যশোরের মণিরামপুরে স্বরুপজান ওরফে সাথী (৩২) নামের এক গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের খাটুয়াডাঙ্গা গ্রামের একটি চাতালের ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত স্বরুপজান ওরফে সাথী (৩২) ওই চাতাল মালিকের ছেলে আব্দুর রশীদ মিন্টু সরদারের ছোট স্ত্রী ছিলেন। তিনি ওই চাতালে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
ঘটনার পর মিন্টু সরদার, তার বড় স্ত্রী, ছেলে ও পুত্রবধূ সবাই পালিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সাথীর স্বজন ও স্থানীয়দের অভিযোগ, যৌতুকের এক লাখ টাকা না পাওয়ায় মিন্টু সরদার বড় স্ত্রী ও ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে সাথীকে হত্যা করেছেন।
সাথীর মা আলেয়া বেগম বলেন, ‘চার মাস আগে জমি বিক্রি করে মিন্টুর হাতে চার লাখ টাকা দিয়েছিলাম। এরপর মিন্টু আরও এক লাখ টাকা চেয়েছিল। টাকা না দেওয়ায় সে আমার মেয়েকে গলা কেটে খুন করেছে। চার বছর আগে মিন্টু চাতালে কাজের কথা বলে সাথীকে নিয়ে যায়। পরে ধর্ষণের পর কাজী অফিসে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। মিন্টু প্রায়ই সাথীকে মারধর করতেন।’
বেলা ১টার দিকে সাথীর মরদেহ উদ্ধারের সময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মিন্টুর বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
স্থানীয়রা জানান, মিন্টু সরদার একসময় অবৈধ অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে তিনি ১০-১১ বছর কারাগারে ছিলেন। সাজার মেয়াদ শেষে বেরিয়ে এসে সাথীকে বিয়ে করেন।
এ বিষয়ে মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, ‘গৃহবধূ সাথীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। তার মরদেহ ঘরের মেঝেতে পড়েছিল। হত্যার কারণ উদ্ঘাটন এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।’
জাহাঙ্গীর আলম/এমআই