ধর্ষণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রিকশা র্যালি

ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৯:১৩
-680f7eef9a7c8.jpg)
নারীর উন্নয়ন ও মর্যাদার জন্য কাজ করা সংগঠন ফাউন্ডেশন ওম্যান পসিবিলিটিস এবং নন্দিতা সুরক্ষা যৌথভাবে আয়োজন করেছে ‘ধর্ষণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা ও করণীয় বিষয়ক আলোচনা সভা এবং রিকশা র্যালি’।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বেল ফরিদপুরের পিয়াতো চাইনিজ রেস্তোরাতে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এবং র্যালিটি অনাথের মোড় থেকে শুরু হয়ে, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হয়ে স্টেশন হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করে তরুণ অ্যাক্টিভিস্ট, উন্নয়নকর্মী, কমিউনিটি লিডার এবং গণমাধ্যমকর্মীরা। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি, যেমন— ব্লাস্ট, মহিলা পরিষদ, টিআইবি, উৎস সোস্যাল অর্গানাইজেশন, রঙিন সুতা, রঙের মেলা এবং কারুশিখা ।
অনুষ্ঠানটিতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ফাউন্ডেশন ফর ওম্যান পসিবিলিটিসের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফসিউল আহসান। এরপর আলোচনায় ধর্ষণ আইন, বাংলাদেশের চিত্র এবং উন্নয়নকর্মীদের করণীয় বিষয়ে সেশন পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট শীপ্রা গোস্বামী, সোস্যাল মিডিয়া ভিত্তিক জনসচেতনতা বৃদ্ধির ইতিবাচক প্রভাব ও সাধারণের করণীয় বিষয়ে কথা বলেন নন্দিতা সুরক্ষার প্রকল্প সমন্বয়কারী তাহিয়াতুল জান্নাত রেমি।
মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা জানান, দেশে ধর্ষণসহ লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার হার উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মহিলা পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সারাদেশে ১৮৯ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হন; এদের মধ্যে ৪৮ জন ধর্ষণের এবং ১১ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, একজন নারী ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হন।
এই বাস্তবতাকে সামনে রেখে, আলোচনা সভায় ধর্ষণ প্রতিরোধে ব্যক্তিগত ও সামাজিক করণীয়, বাংলাদেশের ধর্ষণ আইন ও এর প্রয়োগ, সচেতনতামূলক কার্যক্রমে নাগরিক ভূমিকা এবং সোশ্যাল মিডিয়ার সদ্ব্যবহার নিয়ে আলোচনা হয় মুক্ত আলোচনা পর্বে।
আলোচনা শেষে শহরে ধর্ষণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রধান সড়কে এক বর্ণাঢ্য রিকশা র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এটি উদ্বোধন করেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, ফরিদপুরের উপপরিচালক মাসউদা হোসেন।
ফাউন্ডেশন ফর ওম্যান পসিবিলিটিস ও নন্দিতা সুরক্ষার এই উদ্যোগ অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ধর্ষণ প্রতিরোধে ব্যক্তি ও সামাজিক দায়িত্ববোধ জাগ্রত করবে এবং যৌন সহিংসতার বিরুদ্ধে সম্মিলিত সামাজিক অবস্থান তৈরি করতে সহায়ক হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।
বিএইচ/