সেবায় নয়, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা নামেই প্রথম শ্রেণির

আবু সাঈদ, মুন্সীগঞ্জ
প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:২৯

প্রতিষ্ঠার ৫৩ বছর ও প্রথম (‘ক’) শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ার ৩১ বছর পার হলেও মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে জনমনে। মজবুত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা, মশা নিধন, রাস্তা-ঘাটের বেহাল দশা, ফুটপাত দখল, যানজট, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বিনোদন কেন্দ্র (শিশু পার্ক) গড়ে না উঠাসহ নানা সমস্যায় প্রথম শ্রেণির এই পৌরসভার সেবার মান এখন দ্বিতীয় শ্রেণিতেই রয়ে গেছে বলে মত নাগরিকদের।
স্থানীয় সরকার বিভাগের শর্ত অনুযায়ী প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় পাকা রাস্তা, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ, সড়কবাতি, নালা-নর্দমা ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাসহ নানা সুবিধা থাকতে হবে। তবে প্রথম শ্রেণির মর্যাদাপূর্ণ মুন্সীগঞ্জ পৌরসভায় এখনো এসব শর্ত শতভাগ পূরণ হয়নি। বাসিন্দারাও প্রথম শ্রেণির সেবা পান না বলে অভিযোগ রয়েছে। পর্যাপ্ত নালা-নর্দমা না থাকায় বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে পৌরসভার বিভিন্ন সড়ক ও এলাকায়।
অথচ শিক্ষা-দীক্ষা ও অবকাঠামোগত দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে মুন্সীগঞ্জ জেলা সদরের উপকণ্ঠের এই পৌরসভা। তবে ড্রেনেজ ব্যবস্থা, পরিচ্ছন্নতা, যানজট, ফুটপাত দখল-বাণিজ্যসহ নানা সমস্যায় পিছিয়ে পড়ায় ম্লান হয়ে গেছে অনেক অর্জন। তবে কেমন সেবা পাচ্ছেন পৌর এলাকার বাসিন্দারা?
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী বলেন, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভায় বর্তমানে বেশকিছু ড্রেনের কাজ চলছে। ভবিষ্যতে লঞ্চঘাট থেকে সুপার মার্কেট হয়ে ডিসি অফিস পর্যন্ত আমাদের ড্রেনের প্রস্তাবনা আছে। বর্তমানে ভারী বর্ষনের ফলে জলাবদ্ধতা হলেও আমাদের আউটফলের শেষের দিকে কিছু কাজ চলমান থাকায় পানি আউট হতে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। এটা ক্ষণিকের জন্য। দু’একদিন ভারী বর্ষর্ণে সমস্যা হলেও আবার সমাধান হয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, একটি সুসংবাদ হলো, শহরের লঞ্চঘাট থেকে পৌরসভার শেষ পর্যন্ত ইতোমধ্যে একটি পার্ট অনুমোদন হয়ে গেছে। বাকিটাও হয়ে যাবে। এই রাস্তার সাথে আমাদের ড্রেনের প্রস্তাবনা আছে। ওই প্যাকেজটা অনুমোদন হলে ড্রেনের কাজ অচিরেই শুরু হবে। আশা করি, আগামী ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে ড্রেন এবং রাস্তার যেই সমস্যাগুলো আছে, তা বাস্তবায়ন হবে।’
শহরজুড়ে ব্যাটারিচালিত অটো-মিশুকে যানজট
মুন্সীগঞ্জ পৌর শহরে ব্যাটারিচালিত অটো-মিশুকের (ইজিবাইক) সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে প্রতিদিনই দেখা দিচ্ছে যানজট। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ইজিবাইকগুলো শহরের যেখানে-সেখানে ইচ্ছামতো থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করায় এ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
তবে সকাল ৯টার পর থেকে যানজটের চিত্রপট আরও পাল্টে যায়। একই সঙ্গে ঘটছে দুর্ঘটনাও। ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রী সাধারণ। বর্তমান প্রেক্ষাপটে মুন্সীগঞ্জ শহরবাসীর দুর্ভোগের নতুন নাম ‘যানজট’। সরকারি নিয়ম অমান্য করে বেপরোয়াভাবে মিশুক ও অটো চালানোর ফলে শহরবাসীর দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। শহরবাসীর অভিযোগ, অটো-মিশুক (ইজিবাইক) ছাড়াও ভটভটি, শ্যালো ইঞ্জিনচালিত গাড়ি, নসিমন, করিমনও অবৈধভাবে প্রধান সড়কে চলছে অবাধে।
দক্ষিণ কোর্টগাঁও এলাকার বাসীন্দা তমালসহ একাধিক পৌরবাসী বলেন, শহরের জেনারেল হাসপাতাল রোড, সুপার মার্কেট, বাজার রোড থেকে পুরোনো কাচারী পর্যন্ত মানুষকে যানজট মোকাবিলা করতে হচ্ছে নিত্যদিন। যেখানে সেখানে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করা শহরের প্রধান সড়কের বিভিন্ন অংশে সড়কের ওপরই পার্কিং পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে।
তারা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও ফুটপাত দখল আগের মতোই রয়ে গেছে। দখলকারীদের কারণে ফুটপাত দিয়ে পথচারীরা স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছেন না। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোর সামনে গেলেই বোঝা যায় কী হ-য-ব-র-ল অবস্থা।’
মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ মুন্সীগঞ্জের মানুষ
দিন-রাত মশার উৎপাত মুন্সীগঞ্জ শহরজুড়ে চলছে সমান তালে। মশার যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে কয়েল ও বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করেও নিস্তার মিলছে না। এতে মশাবাহিত রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে কয়েকগুণ উৎপাত বেড়ে যায়। তখন মশারির মধ্যে কিংবা মশা তাড়ানো উপকরণ ছাড়া বসে থাকা দুরূহ হয়ে পড়ে।
সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় রয়েছে শিক্ষার্থীরা। মশার উৎপাতে তারা ঠিকভাবে লেখাপড়া করতে পারছে না। মশার উপদ্রবে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও রয়েছে বিপাকে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। শীতের মৌসুম শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মুন্সীগঞ্জ শহরে বেড়েছে মশার উপদ্রব, বলছেন শহরবাসী।
স্থানীয় লোকজন বলেন, দিনের বেলায় কোনোরকমে টিকতে পারলেও সন্ধ্যা হওয়ার পরপর ঘরে-বাইরে মশার যন্ত্রণায় দাঁড়ানোই দায় হয়ে পড়ে। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করেও মশার কামড় থেকে রেহাই মিলছে না। এমন পরিস্থিতিতেও মশা নিধনে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না পৌর কর্তৃপক্ষকে। জনসচেতনতা নেই, প্রচারণাও নেই।
পৌরসভার বাসিন্দারা বলছেন, ডেঙ্গু আগের বছরগুলোতে যে ভয় ছড়িয়েছে, তা এখনো ভোলেনি মানুষ। বর্ষার আগে মশা নিধনে ডেঙ্গু নিয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা রয়েছে। তবে সেই সতর্কবার্তা পৌর কর্তৃপক্ষের কানে পৌঁছাচ্ছে না। আগে শহরের মশক নিধন কার্যক্রম স্থানীয় জনপ্রতিনিধি দেখভাল করতেন। গত ৫ আগস্টের পর সেই দায়িত্ব এসেছে একজন কর্মকর্তার ওপর।
পৌরসভার পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এখন মশার প্রজনন মৌসুম। এ সময় মশার উপদ্রব বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক। তবে মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে পৌরসভা।
পথচারীর ফুটপাত ব্যবসায়ীদের দখলে
মুন্সীগঞ্জ শহরের ফুটপাত এখন ব্যবসায়ীদের দখলে। শহরের হাটলক্ষ্মীগঞ্জ এলাকার ধলেশ্বরী নদীর পাড় থেকে জেলা পরিষদ পর্যন্ত ফুটপাত ও সড়কের বিভিন্ন অংশে রয়েছে স্থায়ী ও অস্থায়ী অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। কোথাও কোথাও রাস্তার ওপর সবজির দোকান, ফলের দোকান, কাপড়ের দোকান, স্ট্রিট ফুডসহ নানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
আবার কোথাও কোথাও অটোরিকশা স্ট্যান্ডের দখলে। দেখলে মনে হয়, পুরো শহর একপ্রকার হাটবাজারে পরিণত হয়েছে। শহরটির প্রধান দুটি সড়ক সদর থানা (পুরাতন) সড়ক ও অপরটি জুবলী রোড (পুরাতন)। তবে এসব সড়কের উভয়পাশে পথচারীর জন্য ফুটপাত থাকলেও তা দখলে রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। এতে সড়কে চলাচল করতে গেলে দুর্ভোগে পড়েন পথচারীরা।
শহর ঘুরে দেখা গেছে, পুরাতন সড়কের সম্পূর্ণ ফুটপাত বিভিন্ন হকারদের দখলে রয়েছে। আবার যাদের সড়কের পাশে স্থায়ী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, তারা ফুটপাত দিয়ে মানুষের হাঁটার জন্য তিল পরিমাণ জায়গা খালি রাখেনি। বিভিন্ন পণ্য দিয়ে ফুটপাত দখলে রেখেছেন তারা। রাস্তার দুই পাশে অবাধে বসা ভাসমান দোকানগুলোতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে বেচা-কেনা।
এতে নারী পথচারীরা পড়েছেন বিপাকে। ফুটপাত দখল করে ভ্রাম্যমাণ ব্যবসা পরিচালনা করায় সাধারণ মানুষের চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে শহরের নান্দনিকতাও বিনষ্ট হচ্ছে। শহরের সৌন্দর্য অক্ষুণ্ন রাখতে ও নান্দনিকতা ফিরিয়ে আনতে ফুটপাট দখলমুক্ত করে ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের একটি নির্ধারিত নিয়মের আওতায় নিয়ে আসা জরুরি।
ড্রেনেজে অব্যবস্থাপনা
মুন্সীগঞ্জে ড্রেনের অব্যবস্থাপনায় ভোগান্তিতে রয়েছেন পৌরবাসী। সামান্য বৃষ্টিতেই সড়ক ও লোকালয়ে জলজট হচ্ছে। ড্রেনের ময়লা পানি ছড়িয়ে পড়ছে। এবার বৈশাখে প্রথম বৃষ্টিতেই এই নাজুক চিত্র। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, পানি নিষ্কাশনের পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থাপনার অভাব, অবৈধ ভরাটযজ্ঞ এবং ড্রেনগুলোর যথযথভাবে পরিস্কার না রাখায় সংকট প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
প্রধান সড়কের পাশে বিভিন্ন স্থানে ড্রেনের স্লাভ ভেঙে খোলা অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে। পথচারীদের ঝুঁকি ছাড়াও সরাসরি ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এই ড্রেনের পাশেই অনেক বাড়িঘরের ময়লার পাইপের সংযুক্তি।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের মানিকপুর, বাগমামুদালীপাড়া, সুপার মার্কেট, খালইস্ট এলাকার সড়কে পানি জমে। শহরের বিভিন্ন মহল্লায় জলবদ্ধতার এই চ্যালেঞ্জ। এতে ভোগান্তিতে মানুষ। আর ময়লা পানি সরাসরি নদীতে ফেলাতে পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগেই পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা সুচারু করার দাবি পৌরবাসীর। পোনে ১১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের শহরটিতে ৭২ হাজার মানুষের বসতি।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনাও ত্রুটিপূর্ণ
মুন্সীগঞ্জ পৌরসভায় স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সুব্যবস্থা নেই। তাই বায়ু ও পানিসহ পরিবেশ দূষণ ছড়াচ্ছে। মূল শহর থেকে বর্জ্য সরানোর প্রক্রিয়াও ত্রুটিপুর্ণ। তাই ক্ষুব্দ পৌরবাসী। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহরের বাজার সংলগ্ন ও এবং স্মৃতিস্তম্ভ সংলগ্ন প্রধান সড়কেও ময়লার বড় স্তুপ।
এ ছাড়াও শহরের দেওভোগ মাদ্রাসা, এভিজেএম, মানিকপুর হাসপাতাল, শ্রীপল্লী, পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন খালইস্ট ও অটোরিকশা স্ট্যান্ড সংলগ্ন খালইস্ট, দক্ষিণ ইসলামপুর, ইদ্রাকপুর, গোয়ালপাড়া, জেলখানা রোড, কাটাখালি বাজার, রনছ সরকার বাড়ি সংলগ্ন এলাকায়ও ময়লার স্তুপেও আশপাশের এলাকা থেকে ভ্যানে করে ময়লা এনে জড়ো করা হয়।
দুর্গন্ধে আশপাশ দিয়ে চলাচল কঠিন। এসব ময়লা ৬টি ট্রাক ও ১৯টি ভ্যানে করে নিয়ে ফেলা হয় পৌরভবন থেকে প্রায় ৩ সাড়ে কিলোমিটার দূরের মুন্সীরহাট এলাকায়। উন্মুক্ত স্থানেই যেন ময়লার ভাগাড়। আর ড্রেনের তরল ময়লা সরাসরি যাচ্ছে ধলেশ্বরী নদীতে। জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ এই পৌরসভার পরিচ্ছন্নতায় প্রায় ৮০ কর্মী নিয়োজিত। এর ৫৮ জনই রাতে রাস্তা ঝাড়ু দেন। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনার অভাবে এরপরও হিমশিম অবস্থা।
পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘সলিট ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট নামে ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প পাইপ লাইনে রয়েছে। পরিবেশবান্ধব এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ডাম্পিং এলাকার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২৮ মেট্রিক টন বর্জ্য নিয়ে রাখা হয় মুন্সীরহাট-খাসকান্দি এলাকায়। পৌনে ১১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই পৌরসভার ৭২ হাজার মানুষের বসতির বর্জ্য এনে ফেলা হচ্ছে এই লোকালয়ে।
পৌরসভার বিভিন্ন সড়কে বেহাল দশা
মুন্সীগঞ্জ শহরের শিলমন্দি-কাটাখলী সড়ক, যোগনীঘাট-পূর্বশীলমান্দি সড়কসহ আনাচে-কানাচে বিভিন্ন সড়কের অবস্থা বেহাল। সড়কগুলোর কার্পেটিং উঠে গিয়ে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে পৌরবাসীসহ হাজার হাজার যাত্রী।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর দুরবস্থা ও চলাচলকারীর ভোগান্তির দিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর নেই। এ ছাড়াও শহরের প্রধান সড়ক সড়কগুলোরও একই দশা। হাসপাতাল সড়কের নিচে গ্যাসলাইনে রয়েছে লিকেজ।
লিকেজ থেকে প্রায়ই গ্যাস বের হওয়ায় অবস্থা হয়ে উঠেছে আশঙ্কাজনক। রাস্তার নিচ দিয়ে গ্যাসলাইনে লিকেজ থাকায় সেখান দিয়ে গ্যাস বের হয়। মানিকপুরের সড়কটি মেরামত করলেও কয়েক দিন পর আবারও একই অবস্থা। হাজার হাজার মানুষ চলেন এই সড়কে। স্থায়ীভাবে সড়কের সংস্কার চান পৌরবাসী।
মুন্সীগঞ্জ পৌর ভবন সংস্কার কবে
গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পরপরই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার নথি ও আসবাবপত্রসহ পৌর সেবায় নিয়োজিত সব যানবাহন। পৌরসভার নাগরিকদের জন্মনিবন্ধন, নাগরিকত্ব সনদ, চেক, গাড়ি, এসি, আসবাবপত্রসহ পুরো ভবনটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
৩ তলা বিল্ডিংটি ড্যামেজ হয়। প্রায় ২৫ কোটি টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। বর্তমানে স্টেডিয়াম সংলগ্ন অঙ্গনা ভবন ও কাচারী এলাকার পুরাতন হাসপাতালে চলছে পৌরসভার সেবা কার্যক্রম। পৃথক দুটি স্থানে সেবা কার্যক্রম করতে হিমশিম খাচ্ছে পৌরবাসী। ভবন না থাকায় পাওয়া যাচ্ছে না পর্যাপ্ত সেবা।
এমজে