Logo

সারাদেশ

সুনামগঞ্জের হাওরে ধান কাটার ধুম, কৃষকের মুখে হাসি

Icon

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০৪

সুনামগঞ্জের হাওরে ধান কাটার ধুম, কৃষকের মুখে হাসি

মাঠে মাঠে গিয়ে ধান মাড়াই করছেন শ্রমিকরা | ছবি : বাংলাদেশের খবর

সুনামগঞ্জ জেলাজুড়ে চলছে ধান কাটার ধুম। বৈশাখের শুরুতে ভারী বৃষ্টিপাতের শঙ্কা কাটিয়ে মাঠজুড়ে বইছে সোনালি ধানের ঘ্রাণ। কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছে তৃপ্তির হাসি। জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ইতোমধ্যে হাওরাঞ্চলের ৮৩ শতাংশ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে।

সুনামগঞ্জের শনির হাওরের কৃষক সমির উদ্দিন জানান, এবার তিনি ৬ বিঘা জমিতে হাইব্রিড ধানের চাষ করেছেন। প্রতি বিঘায় ২০ মণ করে ধান উঠেছে। তিনি বলেন, ‘আল্লায় দিছে, খুব ভালো ফলন হইছে। ৬ কেয়ারে ১২০ মণ ধান হইছে।’

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বোরো মৌসুমে সুনামগঞ্জের হাওরে প্রতি বিঘায় ১৫ থেকে ২৫ মণ পর্যন্ত ধান উৎপাদন হয়েছে। কৃষি বিভাগ বলছে, হাওরের বিশাল কর্মযজ্ঞে ৩ লাখ শ্রমিকের পাশাপাশি ৭৭০টি মেশিন কাজ করছে।

মাটিয়ান হাওরের কৃষক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমাদের হাওরে ষোলো আনার মধ্যে বারো আনা কাটা শেষ। অনেকের ৩০ মণ পর্যন্ত ফলন হইছে। এইবার আবহাওয়া ভালো থাকায় ভালো ধান হইছে।’

একই এলাকার আতিবুর রহমান জানান, ‘হাওরে ধান কাটা পুরোপুরি শেষ হতে আর ১০–১২ দিন লাগবে। যারা কাটা শেষ করছে, তারা এখন খলায় শুকাচ্ছে। গরুর খড়ও শুকাচ্ছে অনেকে।’

সরকারি নির্ধারিত হার অনুযায়ী, হারভেস্টার মেশিনে প্রতি বিঘায় ধান কাটার সর্বোচ্চ ভাড়া ১,৮০০ টাকা। তবে মাঠ পর্যায়ে অধিকাংশ জায়গায় তা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ।

তাহিরপুর উপজেলার বড়দল গ্রামের বাসিন্দা মো. খালেদ হোসেন বলেন, ‘এখন দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা নিচ্ছে। জমি একটু দূরে হলে তিন হাজারও নিচ্ছে। বৈশাখের শুরুতে ১২০০ থেকে ১৮০০ টাকায় কাটত।’

সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, জেলায় এবার ২ লাখ ২৩ হাজার ৫০২ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। হাওর ও নন-হাওর মিলিয়ে সোমবার পর্যন্ত মোট কাটা হয়েছে ৬৮.৬৩ শতাংশ।”

কৃষি উপদেষ্টা ধান কর্তনের উদ্বোধনের সময় প্রতি বিঘায় ১৮০০ টাকা নির্ধারণ করে দেন। এরপর আমরা মাঠপর্যায়ে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার তথ্য পাইনি। কোথাও কেউ বেশি নিলে অভিযোগ পাওয়ামাত্র ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • আব্দুল হালিম/এটিআর
Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর