Logo

সারাদেশ

‘স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের বলি পুলিশ সদস্য হুমায়ুন’

Icon

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৩:২৩

‘স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের বলি পুলিশ সদস্য হুমায়ুন’

রাজধানীর দয়াগঞ্জে নির্মমভাবে খুন হয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যানবাহন শাখার সদস্য হুমায়ুন কবির (৪৫)। স্ত্রী সালমা বেগম ও তার পরকীয়া প্রেমিক রাজীব আল হাসানের পরিকল্পনায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

এ ঘটনায় সালমা বেগমসহ নিহতের এক আত্মীয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক রয়েছে সালমার পরকীয়া প্রেমিক রাজীব আল হাসান।

নিহত হুমায়ুন কবিরের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সূর্যমণি ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে। রাজধানীর দয়াগঞ্জের একটি পাঁচতলা ভবনের তৃতীয় তলায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন তিনি।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকালে নিজ বাসার গেটের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পান প্রতিবেশীরা। পরে খবর পেয়ে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

পুলিশ জানায়, নিহত হুমায়ুনকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই খোকন হাওলাদার বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার পরদিন রাতে পুলিশ হুমায়ুনের স্ত্রী সালমা বেগম ও ভাইয়ের স্ত্রীর বোন পলি আক্তারকে গ্রেপ্তার করে। এদিকে মামলার প্রধান আসামি রাজীব আল হাসান এখনো পলাতক। তিনি সম্পর্কে হুমায়ুনের বেয়াই (ভাইয়ের শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়)।

নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, সালমা ও রাজীবের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া চলছিল। এ নিয়ে পারিবারিক অশান্তি লেগেই ছিল। একাধিকবার স্থানীয়ভাবে সালিশও হয়েছে। তাদের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবেই সালমা, রাজীব ও পলি মিলে হুমায়ুনকে হত্যা করেছে।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ভোরে নিহতের মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে শোকের ছায়া নেমে আসে। এদিন সকাল সাড়ে ৮টায় নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

যাত্রাবাড়ী থানাপুলিশ জানায়, প্রাথমিক তদন্তে শ্বাসরোধে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অন্য আসামিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

  • আরিফুল ইসলাম সাগর/এটিআর
Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর