শ্রমিক অসন্তোষ
‘আইনি নোটিশ পাইনি’—বিএটি বাংলাদেশের দাবি

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ মে ২০২৫, ১৫:৩২

ছবি : বাংলাদেশের খবর
কুষ্টিয়ার গ্রিন লিফ থ্রেশিং প্লান্টে (GLTP) মৌসুমি শ্রমিকদের দাবিকে কেন্দ্র করে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটি)-এর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘উল্লেখিত মামলার বিষয়ে এখনও তারা কোনো আনুষ্ঠানিক আইনি নোটিশ পাননি।’
তিনি জানান, শ্রমিকদের উত্থাপিত অধিকাংশ দাবির সমাধানে প্রতিষ্ঠানটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। তবে কিছু দাবি বাংলাদেশ শ্রম আইনের আওতায় না পড়ায় সেগুলো পূরণ করা সম্ভব নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বক্তব্যে আরও বলা হয়, ‘সঙ্কটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সহায়তায় একাধিক বৈঠকে অংশ নিয়েছি, প্রতিনিধিদের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনাও হয়েছে। পাশাপাশি আইনসঙ্গত কাঠামোর মধ্যে থেকে অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।’
বিএটি বাংলাদেশ দাবি করেছে, প্রতিষ্ঠানটি শ্রম আইনসহ দেশের সব নীতিমালা মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মামলার আনুষ্ঠানিক নোটিশ পাওয়ার পর তারা বিষয়টি পর্যালোচনা করে আইনি পদক্ষেপ নেবে বলেও জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার (৩০ এপ্রিল) ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ’র বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে খুলনা শ্রম আদালতে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে। কুষ্টিয়ার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) ফারজুন ইসলাম এ মামলা করেন।
মামলায় বিবাদী করা হয়েছে বিএটি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিশা আব্রাহাম, হেড অব অপারেশনস জর্জ লুইস মার্সেডো, সিনিয়র লিগ্যাল কাউন্সেল সৈয়দ আফজাল হোসেন এবং কুষ্টিয়া লিফ ফ্যাক্টরির প্ল্যান্ট ম্যানেজার মুকিত আহমেদ চৌধুরীকে।
কুষ্টিয়ার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক ফরহাদ ওহাব জানিয়েছেন, শ্রম আইনের বিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে।
এআরএস