চরফ্যাশনে ইউপি সদস্যদের সভায় বাধা, অভিযোগ ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে

চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ মে ২০২৫, ১৭:৪৫

অভিযুক্ত ইউপি সচিব মো. অহিদুর রহমান /ছবি : সংগৃহীত
ভোলার চরফ্যাশনের জিন্নাগড় ইউনিয়নে মাসিক সভায় যোগ দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছেন ইউপি সদস্যরা। অভিযোগ উঠেছে, ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. অহিদুর রহমান নিজেই পূর্বপরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে সদস্যদের সভায় যোগ দিতে বাধা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবু জাহেরসহ ৯ ইউপি সদস্য অভিযোগ করেন, সচিব অহিদুর রহমান ইউনিয়ন পরিষদের সামনের সড়কে তার অনুসারীদের দিয়ে পথ অবরোধ করে রাখেন। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে ইউপি সদস্যদের ভয়ভীতি দেখিয়ে পরিষদে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়।
সংরক্ষিত ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নারী সদস্য ফাহমিদা সুলতানা ডলি বলেন, ‘আমি সভায় যোগ দিতে গেলে একদল লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার দিকে তেড়ে আসে। পরে আমি পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে আশ্রয় নিই।’
সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নারী সদস্য দীপালী রানী রায় বলেন, ‘আমার সামনেই শতাধিক যুবক লাঠি ও অস্ত্র হাতে স্লোগান দিতে দিতে এগিয়ে আসে। তারা বলে— ‘মেম্বারদের চামড়া তুলে ফেলব’। পরে ভয়ে আমি পাশের এক বাড়িতে আশ্রয় নিই।’
ইউপি সদস্যদের অভিযোগ, সচিবের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ দায়ের করায় প্রতিশোধ নিতে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। গত এপ্রিল মাসে ইউপি সদস্যরা ভোলা জেলা প্রশাসকের কাছে সচিব মো. অহিদুর রহমানের নানা অনিয়ম নিয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। এরপর থেকেই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বলে দাবি তাদের।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউনিয়ন সচিব মো. অহিদুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ সত্য নয়। বিএনপির কিছু লোক আমাকে গালিগালাজ করে পরিষদ থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে। আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
জিন্নাগড় ইউনিয়নের প্রশাসক ও উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, ‘আমি মিটিংয়ে উপস্থিত থাকার জন্য পরিষদে গিয়েছিলাম। রাস্তায় কিছু লোকের জটলা ছিল। পরে ইউপি সদস্যরা আমাকে জানান, তাদের বাধা দেওয়া হয়েছে। আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এম ফাহিম/ওএফ