Logo

সারাদেশ

আ.লীগ নেতার মধ্যাহ্নভোজে জামায়াত নেতা শফিকুল

Icon

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৫, ১৯:৫৮

আ.লীগ নেতার মধ্যাহ্নভোজে জামায়াত নেতা শফিকুল

পটুয়াখালীর বাউফলে আওয়ামী লীগ নেতার আমন্ত্রণে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও তার সঙ্গীরা। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং এরই মধ্যে এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ ভাইরাল। 

শুক্রবার (২ মে) জুমার নামাজের সময় বাউফল পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের শামনুর সিকদার জামে মসজিদে নামাজ আদায় করেন ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। তার আগমনে মসজিদের সাধারণ মুসল্লিদের মাঝে বিরিয়ানি বিতরণ করা হয়। এ আয়োজনের পেছনে ছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. নুরুল হক মিয়া। যিনি পৌর আওয়ামী লীগের ৭নং ওয়ার্ড সভাপতি এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য।

জামায়াত নেতা ও তার সফরসঙ্গীদের জন্য নুরুল হকের বাড়িতে বিশেষ মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা করা হয়। তবে রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ও বিতর্ক এড়াতে শেষ মুহূর্তে খাবারের স্থান পরিবর্তন করা হয় এবং পরে নুরুল হকের ভাইয়ের ছেলে এবং যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেনের বাসায় ভোজের আয়োজন করা হয়।

নুরুল হকের ওই বাসাতেই শফিকুল ইসলাম মাসুদসহ জামায়াতের প্রায় ১৫-২০ জন নেতাকর্মী অংশ নেন। ভোজে আলোচিত যুবলীগ কর্মী সুধীর নন্দীর উপস্থিতিও আলোচনার জন্ম দেয়। এই ঘটনা প্রকাশ পেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদ জানায় বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে বাউফল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সংগঠন মুনতাসির তাসরিপ বলেন, মাসুদ ভাইকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করি। কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে তিনি আমাদের এলাকার অহংকার এবং আমাদের গৌরবের একজন। তার সামাজিক কাজগুলো মুগ্ধ হওয়ার মতো। কিন্তু শুক্রবার ডেভিলের আমন্ত্রণে যা করলেন, এটা জুলাই যোদ্ধাদের ব্যঙ্গ করা ছাড়া আর কিছুই না। আমি জানি না এটা তার ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভুল কিনা। তবে যাই হোক, এ ঘটনার মধ্য দিয়ে ভোটের রাজনীতির কাছে পরাজিত হলো জুলাই যোদ্ধারা। এরকম চলতে থাকলে তাদের ওপর ভর করে লীগ আবার ফিরে আসবে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. মুনির হোসেন বলেন, এই ভোজন জুলাই শহীদদের রক্তের সাথে প্রতারণা। যুবদল নেতা আনোয়ারের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আওয়ামী লীগ নেতা মো. নুরুল হক মিয়া আমন্ত্রণের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, একজন অতিথি আসায় আপ্যায়ন করা হয়েছে মাত্র। আমার বাসায় খায়নি, আনোয়ারের বাসায় খেয়েছে। কতজন খেয়েছে সেটিও আমি বলতে পারবো না, আমি এক কোণায় বসেছিলাম। 

রান্না আগে থেকেই প্রস্তুত থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বাবুর্চিরা আগে জানলো কীভাবে, আমি জানি না।

যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার বাসায় কোনো দাওয়াত ছিল না। বরং বৃষ্টি শুরু হলে নুরুল হক মাস্টারের মেয়ে জামাই অলিউল আমার বাসায় এসে তাদের বসে খাওয়ার অনুমতি চান।

এদিকে জামায়াত নেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, আমি একজন বাউফলবাসীর দাওয়াতে এসেছি। কে কোন দল করে তা আমার জানার বিষয় নয়। সমাজে বিভেদ নয়, মিলেমিশে চললেই উন্নয়ন সম্ভব।

বিএইচ/

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর