শেরপুরে ভূয়া এক্সরে, হয়রানির শিকার ছাত্রদল নেতার পরিবার

শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৫, ২১:৩৪
-681638006a32e.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
শেরপুরে ভুয়া এক্সরে রিপোর্টের ভিত্তিতে মেডিকেল সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে ছাত্রদল নেতা শাহিনুর ইসলামের পরিবারের সদস্যরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা। এ বিষয়ে ২৯ এপ্রিল সিভিল সার্জন ও জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কাছে লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছে।
ছাত্রদল নেতা শাহিনুর ইসলাম শ্রীবরদী উপজেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং উপজেলার খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়নের লংগরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২১ ডিসেম্বর জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে শাহিনুরের পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী ইমান আলী ও সোহেল রানাদের সংঘর্ষ হয়। নিরাপত্তার আশঙ্কায় ওইদিনই শাহিনুরের স্বজন উকিল মিয়া শ্রীবরদী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরদিন পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলে ক্ষিপ্ত হয় প্রতিপক্ষরা এবং পুলিশ চলে যাওয়ার পর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে শাহিনুরের পরিবারের তিনজন আহত হন। এ ঘটনায় ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি জহুরুল ইসলাম, তার ভাতিজা সোহেল রানা ও নবাকুল গংদের আসামি করে মামলা হয়।
কিন্তু ঘটনার চারদিন পর প্রতিপক্ষ পক্ষ থেকে পাল্টা মামলা দায়ের করা হয় শাহিনুরের ভাই-বোন ও চাচাদের নামে। এ মামলায় সোহেল রানার হাত ভেঙেছে—এই মর্মে শ্রীবরদীর 'লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের' এক্সরে রিপোর্ট দেখিয়ে শেরপুর জেলা হাসপাতাল থেকে মেডিকেল সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা হয়।
তবে সাংবাদিকরা লাইফ কেয়ার সেন্টারে গিয়ে এক্সরের কোনো রেকর্ড পাননি। সেন্টারের পরিচালক মো. হাসান জানান, ২২ ডিসেম্বর সোহেল রানা নামে কেউ এক্সরে করাননি। রিপোর্টটি ভুয়া, আমাদের প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে জালিয়াতি করা হয়েছে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
ছাত্রদল নেতা শাহিনুর বলেন, ‘আমাদের পরিবারের ওপর হামলা করে গুরুতর আহত করার পর এখন ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে উল্টো হয়রানি করা হচ্ছে। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।’
এ বিষয়ে শেরপুরের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ শাহীন বলেন, ‘এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
শাহরিয়ার/এআরএস