বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির আয়োজনে শনিবার (৩ মে) বিকালে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

কামাল উদ্দিন সবুজ বলেন, ‘চব্বিশের ৫ আগস্ট বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ার সুযোগ হয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। সাংবাদিকতার সঙ্গে রাজনীতি মেলানো কিংবা রাজনীতির সঙ্গে ব্যক্তিস্বার্থ জড়িত থাকলে সাংবাদিকতা হয় না। সাংবাদিকদের একমঞ্চে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যেখানে সকল মত-পথের সাংবাদিকদের সম্মিলন ঘটবে। ফেনী থেকে সেই যাত্রা শুরু হোক। ঐক্যবদ্ধ না হলে নির্যাতিত হতেই থাকবে। 

তিনি বলেন, গণমাধ্যমকে গণমুখী করার জন্য কাজ করতে হবে। রাজনীতিকরা নানা ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তখন এসব লিখতে গেলে শত্রুতা তৈরি হয়। সাংবাদিকতা ঝুঁকিপূর্ণ পেশা। যুগে যুগে অনেক সাংবাদিক মারা গেছেন। ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হবে। গত ৮ মাসে গণমাধ্যম ১৬ ধাপ এগিয়েছে। আরও এগিয়ে নিতে হবে। গণমাধ্যমকে মুক্ত রাখতে হলে যুদ্ধ অব্যাহত রাখতে হবে। মানুষের সুখ-দুঃখ তুলে ধরে ফেনীতে সাংবাদিকতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে হবে।

ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নুরুল আমিন খান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন ফেনী প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি একেএম আবদুর রহীম, শিক্ষক নেতা মহিউদ্দিন খোন্দকার, মানবাধিকার সংগঠক হুমায়ুন কবীর পাটোয়ারি, সাংবাদিক মামুনুর রশিদ, আবু তাহের ভূঁইয়া, আরিফ রিজভী, জসিম মাহমুদ, শুকদেব নাথ তপন, এনামুল হক, মাঈন উদ্দিন, নাজমুল হক শামীম, আল মামুন, আরিফুর রহমান, আতিয়ার হাওলাদার সজল,  শফিউল্যাহ রিপন, ইয়াছিন আরাফাত রুবেল, এম. এ আকাশ, তোফায়েল আহমেদ নিলয়, ছাগলনাইয়া প্রেসক্লাব সভাপতি মোহাম্মদ শেখ কামাল, পরশুরাম প্রেসক্লাব সভাপতি এম এ হাসান, দাগনভূঞা প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমাম হাসান কচি। 

এমরান পাটোয়ারী/এমবি