কুড়িগ্রামে মাছ দিয়ে তৈরি হচ্ছে ফাস্টফুড, বাড়ছে চাহিদা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৫, ১৬:৪৬

ছবি : বাংলাদেশের খবর
মাছে-ভাতে বাঙালি—এই পরিচয় যেন আবারও নতুনভাবে ধরা দিচ্ছে কুড়িগ্রামে। প্রথমবারের মতো জেলায় মাছ দিয়ে তৈরি হচ্ছে পুরি, সিঙ্গারা, চপ, পাকোড়া ও ফিশ ফিঙ্গারসহ নানা ধরনের মুখরোচক ফাস্টফুড। ভিন্নধর্মী এসব খাবার পেয়ে সন্তুষ্ট ক্রেতারা, আর বাড়ছে বিক্রি ও কর্মসংস্থান।
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের দাশেরহাট বাজারে সিরাজুল ইসলামের চায়ের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে এসব খাবার। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তেলাপিয়া, সিলভার কার্প, পাঙ্গাস ও রুই মাছের কাঁটা ও আঁশ ছাড়িয়ে তৈরি করা হচ্ছে ফিশ ফিল, পাকোড়া, ফিশ বল, সিঙ্গারা, সমুচা ও চপ। এসব খাবারে ব্যবহৃত হচ্ছে মাছের পাউডার ও মাসলও।
শুধু দোকানে নয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও টিফিন হিসেবে এই খাবারের চাহিদা বাড়ছে। শিক্ষার্থী রেশমা বলেন, মাছ কাটতে আলসেমি লাগে বলে তরকারি হিসেবে খান না। কিন্তু এই ফাস্টফুডে কাঁটা না থাকায় খেতে আরাম ও সুস্বাদু।
অভিভাবক বুলবুলি আক্তার বলেন, শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত ও আমিষসমৃদ্ধ এই খাবার বেশ কার্যকর। অনেকে বাসায়ও নিয়ে যাচ্ছেন।
উদ্যোক্তা সিরাজুল জানান, আরডিআরএস বাংলাদেশের তিন দিনের প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি এই ব্যবসা শুরু করেন। এখন প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ৩০ টাকা দামের এসব খাবার বিক্রি করে ভালো আয় করছেন।
আরেক উদ্যোক্তা জোবায়দুল হক বলেন, তিনি ভ্যানে করে স্কুল-কলেজ এলাকায় এই খাবার বিক্রি করেন। চাহিদা দেখে তিনি আশাবাদী।
আরডিআরএস বাংলাদেশের টেকনিক্যাল অফিসার মোজাম্মেল হক জানান, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে তিনজন উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সফলতা দেখে আরও উদ্যোক্তা তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মুক্তাদির খান বলেন, আমিষের চাহিদা পূরণে মাছের এই ফাস্টফুড গুরুত্বপূর্ণ। এতে চাষি, বিক্রেতা ও ভোক্তা—সবাই উপকৃত হবেন।
এআরএস