Logo

সারাদেশ

কুড়িগ্রাম

সিগারেট টানতে টানতে নিচ্ছেন ঘুষ, ভিডিও ভাইরাল

Icon

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৫, ১৪:৪৬

সিগারেট টানতে টানতে নিচ্ছেন ঘুষ, ভিডিও ভাইরাল

কুড়িগ্রামে ভূমি কর্মকর্তার ঘুষ লেনদেনের ভিডিও ভাইরাল /ছবি : সংগৃহীত

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম মন্ডলের ঘুষ লেনদেনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। দুই মিনিট ৫৪ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের এই ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১১ হাজার টাকা ঘুষ নিচ্ছেন তিনি। ভিডিওতে ঘুষ লেনদেনের পাশাপাশি জমির কাগজপত্র পরীক্ষা ও কথোপকথনও শোনা যায়।

ভিডিওতে দেখা যায়, ইউনিয়ন ভূমি অফিসের একটি বিশ্রাম কক্ষে বিছানার ওপর বসে সিগারেট খাচ্ছেন কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম মন্ডল। এরপর হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিতে এক ব্যক্তির জমির কাগজপত্র দেখতে দেখা যায় তাকে। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি ৫০০ টাকার নোটে ১১ হাজার টাকা গুনে তাকে দেন।

টাকা গুনে নিয়ে কর্মকর্তাকে বলতে শোনা যায়, ‘বেশি করে দেন। বড় স্যারের কাছে গেছেন যহন। কাল না কলেন, ১৫ দিমু।’ জবাবে টাকা দেওয়া ব্যক্তি বলেন, ‘কো, আপনি শুনতে ভুল করেছেন।’

ঘুষ দেওয়ার বিষয়ে অভিযোগকারী চর বন্দবেড় গ্রামের আব্দুল্লাহেল কাফী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তার ৩ একর ৪.৫ শতক জমির খাজনা দিতে গিয়েছিলেন। প্রথমে তাকে ১ লাখ ১২ হাজার টাকা খাজনার হিসাব দেওয়া হয়। যদিও তার দাবি, ২০২৪ সাল পর্যন্ত সব খাজনা পরিশোধ করা ছিল। পরে আড়ালে ডেকে নিয়ে বিষয়টি ৭১ হাজার টাকায় নিষ্পত্তি করতে বলেন ভূমি কর্মকর্তা। প্রথমে ৬০ হাজার ও পরে ভিডিওতে দেখা ১১ হাজার টাকা তিনি দেন বলে জানান। তবে জমির খাজনার দাখিলায় দেখা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মাত্র ১,৫০৫ টাকা পরিশোধ দেখানো হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ভূমি কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম মন্ডল বলেন, আব্দুল্লাহেল কাফীর সঙ্গে তার ‘নানা-নাতির সম্পর্ক’। আর আর্থিক লেনদেন ছিল পারিবারিক পর্যায়ের।

তিনি দাবি করেন, কাফী তার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন এবং ভিডিওতে যে টাকা দেওয়া হয়েছে, তা সেই ধার পরিশোধের অংশ। তবে খাজনার ৭১ হাজার টাকা গ্রহণের অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।


রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উজ্জল কুমার হালদারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাসেল দিও বলেন, ‘ভুক্তভোগী আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেননি। তবে ভাইরাল ভিডিওটির বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

ফজলুল করিম ফারাজী/ওএফ/এনআর

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর