সুন্দরবনের শিবসা নদী সংলগ্ন আদাছগী এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে করিম শরীফ বাহিনীর দুই সক্রিয় সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। এ সময় বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৬ মে) সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এইচ এম এম হারুন-অর-রশীদ এসব তথ্য জানান। 

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার বিকেল ৫টার দিকে কোস্ট গার্ড বেইস মোংলার একটি দল সুন্দরবনের শিবসা নদীর পাশে আদাছগী এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায়।

অভিযানে করিম শরীফ বাহিনীর দুই সহযোগী মো. সাদ্দাম খান (২০) ও আব্বাস মোল্লাকে (৪০) আটক করা হয়। তারা দুজনেই বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ থানার বাসিন্দা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা দীর্ঘদিন ধরে করিম শরীফ বাহিনীর সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তারা ডাকাতি ছাড়াও বাহিনীর অস্ত্র, গোলাবারুদ ও অন্যান্য রসদ সরবরাহে সহযোগিতা করত।

অভিযানে উদ্ধার করা সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে- ২টি একনলা বন্দুক, ১টি শর্টগান, ১টি খেলনা বন্দুক, অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদি, ২৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ২০৪ রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজ, ৯টি দেশীয় অস্ত্র, ৪টি কুড়াল, ৭টি করাত, ১০টি রড, ৫টি হাতুড়ি, ১টি সোলার প্যানেল, ২৮টি মোবাইল ফোন, ১১টি ওয়াকিটকি চার্জার ও ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ২টি কাঠের নৌকা।

কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের চিফ স্টাফ অফিসার কমান্ডার সঞ্জীব কুমার দে বলেন, কোস্ট গার্ডের ধারাবাহিক অভিযানের ফলে উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেরা এখন অনেক বেশি নিরাপদ বোধ করছেন। সুন্দরবনে দস্যুবিহীন পরিবেশ নিশ্চিত করতে কোস্ট গার্ড নিয়মিত টহল ও অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড উপকূলীয় ও নদীতীরবর্তী এলাকায় ২৪ ঘণ্টাব্যাপী টহল কার্যক্রম ও বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে। যার ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দৃশ্যমানভাবে উন্নত হয়েছে।

সুন্দরবনকে দস্যু-ডাকাতমুক্ত রাখতে কোস্ট গার্ডের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

শেখ আবু তালেব/এমবি