Logo

সারাদেশ

লালমাই পাহাড়ে রাজার বাড়ির প্রথম দোকান!

Icon

লালমাই (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৫, ১৫:৫৯

লালমাই পাহাড়ে রাজার বাড়ির প্রথম দোকান!

ছবি : বাংলাদেশের খবর

৮ হাজার টাকা মূলধন নিয়ে মাত্র ১৫ দিন আগে চা, বিস্কুট ও চিপসের দোকান দিয়েছেন শাহীন মিয়া (৪০)। যে স্থানে দোকান বসিয়েছেন কিছুদিন আগেও তা ছিল কল্পনার বাইরে। তবে, বর্তমানে এটি তার ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে শুরু করেছে। জীবনের কঠোর পরিশ্রমে উঠে দাঁড়ানো শাহীন মিয়া কিছুদিন আগে পর্যন্ত তুলার ফ্যাক্টরীতে কাজ করতেন।

তবে লালমাই পাহাড়ের প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন খুঁজে বের করতে সরকারি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের খনন কাজ শুরু হওয়ায় এখানে দিন দিন পর্যটক বাড়ছে। এতে লাভবান হয়েছেন শাহীন, যিনি এখন পাহাড়ের উপরে ছোট্ট দোকান থেকে প্রতিদিন প্রায় ১২-১৪ শত টাকার চা ও অন্যান্য পণ্য বিক্রি করছেন।

অনেক বছর ধরে বলা হয়ে আসছিল, লালমাই পাহাড়ের বড় ধর্মপুর বালাগাজী মুড়া এলাকায় মাটি খুঁড়লেই পাওয়া যাবে ইটের টুকরা এবং প্রাচীন জিনিসপত্র।

স্থানীয়রা বলতেন, এখানেই ছিল একসময় রাজার বাড়ি। সেই গল্প এখন বাস্তবতায় পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি সরকারি কর্তৃপক্ষ এ এলাকায় খনন কাজ শুরু করেছে। খননে প্রাচীন একটি বাড়ির সন্ধান মিলে।

স্থানীয় বাসিন্দা মনির হোসেন জানান, এ এলাকায় প্রাচীন রাজার বাড়ি উদঘাটন হলে তা পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা উচিত। এতে সরকারের রাজস্ব যেমন বাড়বে, তেমনি শাহীন মিয়া ও অন্যান্য স্থানীয়দের কর্মসংস্থানও বৃদ্ধি পাবে।

পঞ্চাশ বছর আগে বিয়ে হয়ে স্বামীর বাড়িতে এসেছিলেন ছালেহা বেগম। তখন থেকেই তিনি শুনে এসেছেন রাজার বাড়ির গল্প। কিন্তু জীবনে কখনো ভাবেননি, মাটির নিচে প্রকৃত রাজার বাড়ি খুঁজে পাবেন। এখন এখানকার মানুষ নতুন কর্মসংস্থানের আশা করছেন প্রাচীন রাজার বাড়ির খনন কাজের মাধ্যমে।

এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে খনন কাজ। তবে ১১ একর জায়গাজুড়ে এ রাজার বাড়ির বিভিন্ন নিদর্শন পাওয়া গেছে। কুমিল্লা জেলা প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক ড. মোছা. নাহিদ সুলতানা জানিয়েছেন, খনন কাজ শেষ হলে এ স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা আরো জানান, ভবিষ্যতে পুরো এলাকা পর্যবেক্ষণ করে পূর্ণাঙ্গ খনন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে এবং ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

মাসুদ রানা/এআরএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর