থানচিতে নারীর লাশ উদ্ধার
‘ধর্ষণের আলামত মেলেনি, মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে’
পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত

বান্দরবান প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৫, ২০:১২

ছবি : বাংলাদেশের খবর
বান্দরবানের থানচি উপজেলার দুর্গম রেমাক্রী ইউনিয়নে জুমে কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া চিংমা খেয়াং (২৯) নামে এক পাহাড়ি নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে লাশটি থানচি থেকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে নিহতের শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। তবে তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার শহীদুল্লাহ কাওছার। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আবু তালেব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশনস) মো. আবদুল করিম, প্রেসক্লাব সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু এবং জেলা প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার শহীদুল্লাহ কাওছার বলেন, ‘খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। বিষয়টি উদ্ঘাটনে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দ্রুত সময়ের মধ্যেই প্রকৃত কারণ শনাক্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বলেন, ‘মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ একসঙ্গে কাজ করছে। আশা করছি, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকৃত তথ্য বের করে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। এসব বিভ্রান্তি না ছড়ানোর জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ভোরে মংখয় পাড়ার নিজ বাগানে জুমের কাজ করতে যান চিংমা খেয়াং। কিন্তু দুপুর পেরিয়ে গেলেও তিনি বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা তাকে খুঁজতে বের হন। একপর্যায়ে জুম ক্ষেত থেকে প্রায় ৪০ গজ দূরে একটি ঝিরিতে তার লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহতের স্বামী সুমন খেয়াং থানচি থানায় একটি হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে ঘটনাটি নিয়ে বান্দরবানে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। স্থানীয় পাহাড়ি সংগঠনগুলো দাবি করছে, চিংমা খেয়াংকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। নিহতের তিনটি সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে।
সোহেল কান্তি নাথ/এআরএস