পাবনায় ২০ ইটভাটা বন্ধ ও ১৪ ধ্বংস, জরিমানা ৯১ লাখ টাকা

পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৫, ২০:১৫

ছবি : বাংলাদেশের খবর
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ইট তৈরি ও বিক্রয়ের দায়ে পাবনায় গত ৫ মাসে জেলা প্রশাসনের ৩৯টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এতে ২০টি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা এবং ১৪টি ইটভাটা ভেঙে ধ্বংস করা হয়েছে।
বিভিন্ন অপরাধে মোবাইল কোর্টে মামলা দেওয়া হয় ৭১টি, অর্থদণ্ড দেওয়া হয় ৭১ জনকে ও কারাদণ্ড দেওয়া হয় ১৮ জনকে। সেই সঙ্গে জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয় ৯১ লাখ ৭ হাজার টাকা।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এসব মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।
সূত্র মতে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে ঈশ্বরদী উপজেলার ফরিদপুরে ২টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ৪টি মামলা, ৪ জনকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয় ২ লাখ টাকা।
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ঈশ্বরদী, চাটমোহর ও ফরিদপুর উপজেলায় ৬টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ১৫টি মামলা, ১৫ জনকে অর্থদণ্ড ও ৮ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এতে জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয় ৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকা।
ফেব্রুয়ারিতে ঈশ্বরদী উপজেলায় ১টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ১টি মামলা, ১ জনকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এতে জরিমানা আদায় করা হয় ৫০ হাজার টাকা।
মার্চ মাসে পাবনা সদর, আটঘরিয়া, ঈশ্বরদী, চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর, সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলায় ২৭টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ৩৪টি মামলা, ৩৪ জনকে অর্থদণ্ড ও ১০ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এতে জরিমানা আদায় হয় ৩০ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
এছাড়া মার্চ মাসে পাবনা সদরে আরও একটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় ১৬টি মামলা দিয়ে ১৬ জনকে অর্থদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এপ্রিল মাসে পাবনা সদর ও বেড়া উপজেলায় পরিচালিত ২টি মোবাইল কোর্টে ১টি মামলা, ১ জনকে অর্থদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এসব মোবাইল কোর্ট বিষয়ে জানতে চাইলে পাবনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম বলেন, আমি শুনেছি, পাবনা একটি ঐতিহ্যবাহী পুরাতন জেলা। এখানে কাজ করতে গিয়ে সেটার বাস্তবতা দেখছি। কৃষিক্ষেত্রে এ জেলার সুনাম রয়েছে দেশজুড়ে। কৃষিজমি কেটে ইট তৈরি, পরিবেশের ভারসাম্য ও মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়গুলো মাথায় রেখে স্থানীয়দের, সুশীল সমাজের আবেদন এবং বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরনের মোবাইল কোর্ট ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। পাবনাকে সুন্দর ও শৃঙ্খলাপূর্ণ রাখতে আমি সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
শফিক আল কামাল/এমবি