চাঁদপুরের ছেংগারচর পৌরসভার সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৩) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সোমবার (৫ মে) দিনগত রাতে অভিযুক্ত তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

মঙ্গলবার (৬ মে) বিকেলে তাদেরকে চাঁদপুর আদালতে সোপর্দ করে মতলব উত্তর থানা পুলিশ। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল হক।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রোববার (৪ মে) ওই স্কুল ছাত্রী পারিবারিক বিষয় নিয়ে তার মায়ের সঙ্গে কথাকাটাকি করে। একপর্যায়ে এদিন রাত ৯টার দিকে রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় সে। এ সময় আশপাশে থাকা সাফায়েত (১৮), লামিম (১৮) ও রাব্বি (১৯) নামে তিন যুবক তাকে জোরপূর্বক ধরে কাছাকাছি একটি পরিত্যক্ত বসতঘরে নিয়ে যায়। সেখানে সারারাত তিনজন মিলে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।

পরদিন সোমবার ফজরের নামাজের পরে ওই বাড়ি থেকে স্কুল ছাত্রীকে আনুমানিক ২০০ গজ দূরে একটি বাড়ির সামনে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে ভিকটিমের চাচা তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। 

ঘটনার বিষয়টি জানাজানি হলে রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্কুলছাত্রীকে থানায় নিয়ে আসে এবং তার মৌখিক জবানবন্দির ভিত্তিতে রাতেই অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল হক বলেন, স্কুল ছাত্রীর পরিবার থেকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানানোর পরপরই আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই এবং তাকে থানায় নিয়ে আসি। তার জবানবন্দি অনুযায়ী রাতেই অভিযান চালিয়ে তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করি। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণ মামলা রুজু করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার তিন আসামিকে মঙ্গলবার (৬ মে) চাঁদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। দ্রুত তদন্ত শেষ করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

• আলআমিন ভূঁইয়া/এটিআর