Logo

সারাদেশ

মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

বদলি ঠেকাতে ল্যাব ইনচার্জের পক্ষে মরিয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

Icon

আফ্রিদি আহাম্মেদ, মানিকগঞ্জ

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৫, ১৬:৩৭

বদলি ঠেকাতে ল্যাব ইনচার্জের পক্ষে মরিয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাব ইনচার্জ মো. রাজিবুল হাসান ওরফে রাজাকে বদলি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে বদলির এ আদেশ বাতিল করতে তৎপর হয়ে উঠেছেন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. একিউএম আশরাফুল হক ও উপপরিচালক মো. জহিরুল করিম।

তারা উভয়েই গত ২৯ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সরকারি প্যাডে লিখিত সুপারিশ পাঠিয়ে বদলি আদেশ বাতিলের অনুরোধ জানিয়েছেন।

এর আগে গত ২১ মার্চ দৈনিক বাংলাদেশের খবর–এ ‘ল্যাব ইনচার্জের কিট বাণিজ্য’ শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২৮ এপ্রিল এক আদেশে রাজিবুল হাসানকে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শূন্য পদে বদলি করে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো সুপারিশপত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘জনাব মো. রাজিবুল হাসান বর্তমানে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগে কর্মরত নন। অতএব, তার বদলি আদেশ বাতিলের জন্য জোর সুপারিশ করছি।’

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে উঠে আসে—‘সুরক্ষা’ নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেয়ার কেনা, রোগী ভাগিয়ে সেখানে পাঠানো, প্রভাব খাটিয়ে কিট বাণিজ্যসহ একাধিক অনিয়মে জড়িত ছিলেন রাজিবুল হাসান। এসব অভিযোগের ভিত্তিতেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তাকে বদলির সিদ্ধান্ত নেয়।

তবে বদলি ঠেকাতে হাসপাতালের প্রশাসনই নানাভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বদলির আদেশের পরদিনই সুপারিশপত্র পাঠান সহকারী পরিচালক ও উপ-পরিচালক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজিবুল হাসান রাজা বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে বদলি তো হতেই পারে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় আছে, দেখি কী হয়।’

এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একজন গোপন সূত্র জানায়, প্রতিবেদকের অনুসন্ধানী প্রশ্নের পরপরই রাজিবুল হাসান ছাড়পত্র নিয়ে বদলিকৃত কর্মস্থলে চলে যান।

মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. শফিকুল আলম বলেন, ‘বদলির আদেশ হয়েছে, এটা জানি। তবে বদলি ঠেকাতে সুপারিশের কোনো বিষয় আমার জানা নেই।’

উল্লেখ্য, সহকারী পরিচালক ডা. একিউএম আশরাফুল হকের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন সময় প্রভাব খাটিয়ে রোগী পাঠানো ও বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত অভিযোগ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এমনকি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের নাম ব্যবহার করে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তা সত্ত্বেও কোনো বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং তিনি বর্তমানে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন।

এআরএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর